ll

আমরা যেমন, তেমন নেতাই পাই

 চরিত্রটিকে মনে পড়ে? খেপে গেলেও বুক থাবড়ায়, ডর দেখাতেও থাবা মারে বুকে। তার ভাষায় একটাই শব্দ ‘আমি’। জি, ঠিক ধরেছেন। আমি গরিলা রাজা কিং কংয়ের কথাই বলছি। বুক থাবড়ে সে বলে নিজের মুক্তির কথা। বিপুল তার শক্তি, আঙুল দিয়ে বিমান ফেলে দেয়, ঘুষি মেরে ভাঙে বিশাল ভবন। গরিলা রাজত্বে তিনিই রাজা, অনুগতদের দেন আস্থা আর শত্রুকে দেন শাস্তি। কিন্তু মানুষের সমাজে ভয় ছাড়া কিং কংয়ের দেওয়ার কিছু নেই। তারপরও শাসকের মধ্যে আমরা কিং কংয়ের আদল খুঁজি। আমরা চাই, তিনি তাঁর অতিকায় ভাবমূর্তি আর কঠোর শাসন দিয়ে মানুষকে বশে রাখবেন।

ইতালীয় রাজনৈতিক দার্শনিক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি তাঁর দ্য প্রিন্স বইটায় দুর্দান্ত শাসকের জন্য কিছু পরামর্শ রেখেছিলেন। শাসক তাঁর জনগণের কাছে কী বেশি চাইতে পারেন, ভালোবাসা নাকি ভয়মিশ্রিত সমীহ? ম্যাকিয়াভেলি বলছেন, ভালোবাসার চেয়ে ভয় বেশি নিরাপদ। ভালোবাসার মধ্যে যে দায় থাকে, স্বভাবসুলভভাবে আপন সুবিধার খাতিরে মানুষ তা এড়ায়। কিন্তু ভয় শাস্তির আতঙ্ক জাগিয়ে আপনাকে ঠিক রাখবে। এই আতঙ্ক অব্যর্থ।
আতঙ্কের শাসন বিপুল সমারোহে ফিরে আসছে দুনিয়ায়। ট্রাম্পের কথা ভাবুন, পুতিনের কথা ভাবুন, ভাবুন মোদি, নেতানিয়াহু কিংবা এরদোয়ানের কথা। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করতে চান, জনগণকে উত্তেজিত করে তোলেন জাতীয় ‘শত্রু’র বিরুদ্ধে। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশে দারুণ জনপ্রিয়। কেউ কম কথা বলেন, কেউবা বেশি।
কিন্তু তাঁরা বুঝিয়ে দেন, ‘আমিই তো সব করছি,
আমিই তো করব, আমি না থাকলে কে তোমাদের বাঁচাবে!’ তাঁদের উত্থানের ঘটনাকে এখন বলা হচ্ছে জনতুষ্টিবাদ বা পপুলিজম। পপুলিস্ট শাসন অতি কড়া হলে তাকে বলা হয় ফ্যাসিবাদ। তার আগে তা দেখা দেয় কর্তৃত্ববাদের চেহারায়। দেশে দেশে এখন কর্তৃত্ববাদেরই জয়ভেরী বাজছে। বিরাট নেতা আর খুদে জনগণ হলো পপুলিজমের লক্ষণ। কখনো তাঁরা হন নির্বাচিত, কখনোবা নির্বাচন ছাড়াই তাঁরা পেয়ে যান উচ্চ ক্ষমতার সিঁড়ি।
কর্তৃত্ববাদের মুখোশটা পাতলা। অল্প সময়েই তা আপন চেহারাটা দেখিয়ে ফেলে। কিন্তু যাঁরা এ ধরনের কর্তৃত্ববাদের ভক্ত, সেই আমজনতা, সেই জনগণ নামক বিমূর্ত লোকসমষ্টি আসলে কারা? ব্রিটেনে ব্রেক্সিট হওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় একটা জরিপ হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, ব্রিটেনের প্রায় অর্ধেক ভোটারই কর্তৃত্ববাদের পক্ষে। ডেনমার্কে তাঁদের হার ৪৭ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ৫৫, ফ্রান্সে ৬৩, পোল্যান্ডে ৭৮ এবং রুমানিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৮২ শতাং
শ।সুইজারল্যান্ডের মতো ধনী ও জ্ঞানভিত্তিক দেশ আছে পঞ্চম অবস্থানে। সবচেয়ে কম লিথুয়ানিয়া ও জার্মানিতে, যথাক্রমে শূন্য ও ১৮ শতাংশ। গতিটা অসহিষ্ণুতা বাড়ার দিকে, কমার দিকে না। এই জরিপকে অকাট্য প্রমাণ করে এরপরে ব্রেক্সিট হলো, ফ্রান্সের আসন্ন নির্বাচনেও উগ্র জাতীয়তাবাদীরাই জয়ী হবে বলে জানাচ্ছে সব জরিপ। সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরির মতো দেশে তারাই প্রধান বিরোধী দল। অচিরেই আমরা এসব দেশে নতুন নতুন ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখতে যাচ্ছি।
ভারতে ডানপন্থী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এখন ক্ষমতায়। এই মার্চ মাসের রাজ্যসভা নির্বাচনে তারাই ছিল এগিয়ে। নেহরুর সময়ের কংগ্রেস যত রাজ্য শাসন করত, বিজেপি এখন প্রায় সেখানেই। উত্তর প্রদেশে একজন সাম্প্রদায়িক

ধর্মগুরু যোগী আদিত্যনাথ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

>আমরা যখন প্রকৃত স্বাধীনতা সহ্য করতে পারি না, তখনই আমরা অধীন হওয়ার পথে যাই। আমাদের বাসনা থেকেই জন্ম নেয় দুঃশাসনের। আমরা যেমন, তেমন নেতাই পাই

ওদিকে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর মতো আগ্রাসী ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে পুনরায় বিজয়ী হয়ে তিনি সব সমালোচনার জবাব দেবেন, দরকার হলে শেষ পর্যন্ত যাবেন। ডান পন্থার এই বিপদ, তারা সবকিছুর শেষ দেখতে চায়। এই শেষ দেখার প্রত্যয়ে তুরস্কে নতুন গণভোট হতে যাচ্ছে, যাতে করে এরদোয়ান আরও ক্ষমতাশালী হতে পারেন। বাংলাদেশে যেহেতু জরিপের বালাই নেই, তাই বলা যাচ্ছে না আমরা কোন ধাপে আছি।
প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য দুখানেই এই ডান পন্থার প্রধান শত্রু হলো ‘অপর’, যারা নাকি স্বধর্ম, স্বজাতি, স্ববর্ণের ও রঙের লোক নয়। ব্রেক্সিট হওয়ার একটা কারণ ছিল শরণার্থীভীতি, যারা প্রধানত আরব মুসলিম। কমেডিয়ান ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব হাসতেন ও হাসাতেন। কিন্তু কিং কং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখ কঠোর, থমথমে। তিনিও মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের খেপিয়ে তুলছেন। তবে, বাড়তি একটা জুজু তিনি পেয়ে গেছেন: মেক্সিকান।

ফরাসি উগ্র জাতীয়তাবাদী লো পেনের জনপ্রিয়তার জ্বালানিও ওই মুসলিম শরণার্থীবিদ্বেষ। ভারতেও মোটামুটি তা-ই, সেখানে শুরু হয়েছে মুসলিমবিদ্বেষী মাংস নিরোধ অভিযান। রাজ্যে রাজ্যে মুসলিমবিরোধী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তাঁরা সবাই খাঁটি জাতি বানাতে চান। সেই জাতি হবে বহিরাগতমুক্ত, মুসলিমমুক্ত। একেবারে ব্র্যান্ড নিউ ন্যাশন তাঁদের স্বপ্ন। তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগী হচ্ছে আইএসের মতো মুসলিম সন্ত্রাসবাদ।
এসব জাতীয়তাবাদী নেতা বিশ্বায়ন মানেন না, তাঁদের মানবাধিকার কেবল নিজেদের লোকের জন্য প্রযোজ্য। তাঁরা অভিবাসী ঠেকাতে রাষ্ট্রের সীমান্তে দেয়াল আর সমাজ, ধর্ম বা জাতির গায়েকাঁটাতার তুলে রাখা জরুরি মনে করেন। গণতন্ত্র তাঁরা ততদূর মানেন, যতদূর পর্যন্ত সেটা তাঁদের বিজয়ী করে। একবার বিজয়ী হয়েই তাঁরা মুখোশটা খুলে ফেলেন। তাঁরা আবার পরস্পরের বন্ধুও।
মোদি ট্রাম্পের ভক্ত, ট্রাম্প ভক্ত পুতিনের, পুতিন বন্ধু এরদোয়ানের; আর ফ্রান্সের হবু রাষ্ট্রপ্রধান লো পেনও তা–ই। তাঁদের অনুসারীরাও তা–ই। ইহুদিবাদী আর হিন্দুত্ববাদীর সখ্য নতুন নয়। সৌদি মৌলবাদ আর ট্রাম্পের উগ্র জাতীয়তাবাদের তো হাতে হাত। সৌদি যুবরাজ ট্রাম্পকে দারুণ তোয়াজ করলেন কদিন আগে।
ব্যাপারটা কী দাঁড়াল? কর্তৃত্ববাদ বলি, জনতুষ্টিবাদ বলি, ডান পন্থা বলি, এরা মোটামুটি সবাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের কবর রচনা করছে। নির্বাচন ও গণতন্ত্রের মধ্যে যখন এমন দা-কুড়াল সম্পর্ক, তখন বিশ্বজুড়েই গণতন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে কথা–চালাচালি হচ্ছে। বেশির ভাগ কিং কং নেতা জয়ী হয়েছেন অর্ধেকের চেয়েও কম ভোটে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের চেয়েও কম ভোটে।
গণতন্ত্রকে বলা হয় সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে সংখ্যায় কম ভোটেই তাঁরা বাজিমাত করতে পারছেন। ভারতে মোদি মাত্র ৩১ শতাংশ ভোটারের পছন্দে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতির ধনিকশ্রেণির গণতন্ত্র কর্তৃত্ববাদ ঠেকাতে অক্ষম। তারপরও গণতন্ত্রের অভাব মেটাতে পারে আরও বেশি এবং আরও সহি গণতন্ত্র।
ইতিহাস সাক্ষী, যখনই কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ ও উগ্র জাতীয়তাবাদ শক্তিশালী হয়; গরিব-মেহনতি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে। বৃহৎ পুঁজিপতি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লাগামছাড়া হয়।
প্রতিপক্ষের শেষ দেখতে চেয়ে এরা নতুন নতুন যুদ্ধে নিজ ও অন্য জাতির গরিবদের নিকেশ করে। আর নিজ দেশে তারা দাবি করে সীমাহীন আনুগত্য। সেই দাবি মেটাতে জনগণকে দীর্ঘ সংগ্রামে পাওয়া অনেক মৌলিক অধিকার হারিয়ে রাজনৈতিকভাবে লিলিপুট হয়ে যেতে হয়।
লিলিপুট আমরাও হচ্ছি। কোনো জরিপ হলে বাংলাদেশে এখন ঘৃণাই এগিয়ে থাকবে। আমরা কি ঘৃণা করি না অন্য সম্প্রদায়, জাতি, ধর্ম এবং অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে? চোখের বদলে চোখ নিতে গিয়ে অন্ধত্বকেই অনিবার্য করে তুলছি না আমরা?
জঙ্গিবাদ, বন্দুকযুদ্ধ এবং খারিজিপনায় কি দুর্বল হচ্ছে না দেশ? প্রতিপক্ষের শেষ দেখার ইচ্ছা কি নেই আমাদের কোনো কোনো নেতা–নেত্রীর? যারা আমাদের মতো নয়, তাদের মানবাধিকার কি আমরা স্বীকার করি? আমরাই কি চাইনি মহান একনায়কতন্ত্রকে?
এক ড্রাগনভক্ত দিনমান ড্রাগন দেবতাকে ডাকে। তো ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে ড্রাগনদেব একদিন দেখা দিলেন। সে কী বিকট মূর্তি, সে কী লেলিহান শিখা তার জিবে! তা দেখে ভক্ত ভয়ে দৌড়ে পালাল। আমাদের অন্ধভক্তিই জন্ম দেয় ভয়ের। তখন সেই ভয়ের আসরে পড়ে আমরা স্বাধীনতা চাই না, অধিকার চাই না; আমরা চেয়ে বসি এমন কাউকে, যে আমাদের বশ করবে।মনোবিজ্ঞানী এরিক ফ্রম ফ্যাসিবাদী নেতা ও তাঁর অনুসারীদের ওপর গবেষণা করে সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, ‘নিজের ওপর ভরসার অভাবে, স্বাধীনতার যোগ্য না হওয়ায়’ আমরা পরাক্রমশালী নেতার দ্বারা চালিত হতে চাই। আমরা যখন প্রকৃত স্বাধীনতা সহ্য করতে পারি না, তখনই আমরা অধীন হওয়ার পথে যাই। আমাদের বাসনা থেকেই জন্ম নেয় দুঃশাসনের। আমরা যেমন, তেমন নেতাই পাই।

মৃত্যু

 কাকে কখন কোথায়?

করবে আলিঙ্গন

কেউ জানে না কারো

হোক না যতই আপন জন।

প্রিয়জন ছাড়ার ডাইরেক্ট আয়োজন

নোটিশের নাই কোন প্রয়োজন। 

নাই কোন বাড়াবাড়ি

নাই কোন তড়িঘড়ি। 

যার যখন হয় সময়

না করে সময় অপচয়

যেতে হয় চলে যেতে হয়।

শত্রু কিংবা বন্ধু

সবার আবেগের কারন

কেউ মানে না বারন

করতে শেষ আয়োজন।

সাজিয়ে গুজিয়ে রেখে আসে মাটিতে

নিথর দেহ স্থান পায়না একটুকরো পাটিতে।

তবুও জীবন ছুটে চলে

ধাওয়া করে স্বপ্নের পিছু। 

কেউ সততায় ছুটে

কেউ নীতিহীন নীতি নিয়ে।

অপূর্নতায় পরিপূর্ন জীবন

হাসি দুঃখ কান্না বেদনা 

অভিমান আর ভালোবাসা।

তবুও অপূর্ন থেকে যায়

তাইতো মৃত্যুতে পূর্নতায় পায়।


যে দুঃ সং বা দ দিলো যুক্তরাজ্য

 বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী প্রবেশ সীমিত করতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পেতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত।





সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী প্রবেশ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে দেশটিতে নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে।
 

চাপের মুখে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, অভিবাসী অনেক বেশি। এটিকে নামিয়ে আনার জন্য আজ আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। অভিবাসন যেন যুক্তরাজ্যের জন্য সবসময় উপকারী হয়, তা নিশ্চিত করবে এই পদক্ষেপগুলো।
 

ব্রিটিশ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কেবল স্নাতকোত্তর গবেষণা ডিগ্রিতে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাই পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

এছাড়া, দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বিদেশিদের বেতন ন্যূনতম বেতনের সীমাও বাড়াতে চলেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
 

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ভিসা পেতে হলে ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড আয় করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বর্তমানে এই আয়ের সীমা হচ্ছে ২৬ হাজার পাউন্ড (৩৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা প্রায়)।

এসব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ক্লেভারলি।

 

কী কী রয়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনায়:

১. বিদেশি সেবা কর্মীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে আসা বন্ধ করা এবং ভিসা স্পন্সর করার জন্য ইংল্যান্ডের কেয়ার ফার্মগুলোকে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হওয়া। নতুন নিয়মের কারণে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ এই পদ্ধতিতে আগমন ২০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. দক্ষ কর্মী ভিসায় যাওয়া ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক আয় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড করা।

৩. ঘাটতি থাকা পেশাগুলোর জন্য ২০ শতাংশ বেতন ছাড়ের অবসান ঘটানো এবং ঘাটতি পেশার তালিকা সংস্কার করে বিদেশ থেকে কম খরচে কর্মী গ্রহণ বাতিল করা।

৪. পারিবারিক ভিসার জন্য দক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম আয়ের (৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড) দ্বিগুণ আয় থাকা।

৫. শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম কঠোর করা। এর জন্য স্নাতক রুট পর্যালোচনা করবে একটি উপদেষ্টা কমিটি।











ঘুমের ভিতর যে ইবাদত করবেন

 ঘুমের ভিতর যে ইবাদত করবেন জানতে নিচে Download Now এ ক্লিক করেন


                                        'Watch Now'


                                       'Download Now'



                                         


শীতে শরীর গরম রাখে যে খাবার

 শীতে শরীর গরম রাখে যে খাবার জানতে নিচের

 ভিডিওটি দেখতে ডাউনলোড করুন 

                          'Download Video


                          'Watch Now'

                              



ভারতের এই গ্রামে মেয়েদেরকে কাপড় ছাড়াই থাকতে হয়

 আজ আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করলেও আমাদের চারপাশে এখনো কিছু ঐতিহ্য রয়েছে যা আপনি বিশ্বাস করবেন না। ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই কিছু প্রাচীন রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়। তবে হিমাচল প্রদেশের মণিকর্ণা উপত্যকার পিনি গ্রামের এমনই এক অদ্ভুত রীতির কথা শুনলে আপনি অবাক হবেন। আসলে এই গ্রামের মেয়েদের কয়েকদিন কাপড় ছাড়াই থাকতে হয়।



প্রাচীন রীতি অনুযায়ী বলা হয়েছে, বছরের পাঁচটি দিন মহিলারা কোন পোশাক পরেন না এবং মহিলারা এ কদিন বাড়ির বাইরে বের হন না। কিছু কিছু মহিলা আজও এই প্রথম মেনে চলে নিজের স্বইচ্ছায়। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের পাঁচ দিন এই গ্রামের মহিলারা কাপড় পরেন না। একইভাবে পুরুষদের জন্যও এই গ্রামে কঠোর নিয়ম চালু রয়েছে, যা তাদের অনুসরণ করতে হয়। এইসময় পুরুষরা অ্যালকোহল বা অন্যান্য কিছু গ্রহণ করতে পারে না।


কথিত আছে যে, কোন মহিলা যদি সেই প্রথা মানতে নারাজ হন, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই দুঃসংবাদ শুনতে পান। এমনকি পুরো গ্রামের স্বামী স্ত্রীরাও একে অপরের সাথে কথা বলে না এবং তারা দূরত্ব বজায় রাখেন. পুরুষদের জন্য এই প্রথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। যদি কোন পুরুষ এই সময়ের মধ্যে মদ বা মাংস স্পর্শ করেন, তাহলে তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।


এই প্রথার নিয়ম অনুযায়ী, কোন পুরুষ কোন স্ত্রীকে দেখে হাসতেও পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা উভয়ের উপরই বলবৎ থাকে। এই বিশেষ ক’দিনের উৎসবে বাইরে থেকে এই গ্রামে কোন মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হয় না বা তারা এই গ্রামের উৎসবে অংশ নিতে পারেন না। আসলে এই গ্রামের পিছনে রয়েছে একটি ইতিহাস


গ্রামের লোকজন জানান, কয়েক শতাব্দী আগে এখানে এক রাক্ষস বাস করত। তিনি গ্রামে এসে সুন্দর পোশাক পরা মহিলাদের তুলে নিয়ে যেতেন। লাহুয়া নামের এক দেবতা অসুরের অবসান ঘটে। গ্রামের মানুষদের বিশ্বাস আজও লাহুয়া দেবতা গ্রামে আসেন। তিনি এখানে খারাপের সাথে লড়াই করেন। এই কারণেই ওই কদিন পোশাক না পরার রীতি চলে আসছে।

খবরটির ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন 

   'Download Video'


 'Watch Video'

ইউসুফ জুলেখা পর্ব

 ইউসুফ জুলেখা দেখতে 'Watch Now'এ ক্লিক করুন

                  'Download Now'

             'Watch Now'

                    'Download Now'

                     'Download Now'


           


আহমদ ছফার রচনা সমগ্র ডাউন লোড

 'Download'

                              'Download'

আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি

 

আপনারা অনেকে আছেন যারা আহমদ ছফার বিখ্যাত কিছু উক্তি পেতে চান। এর জন্য অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন আহামদ ছফার বিখ্যাত উক্তি। তাই নিচে আহমদ সবার বিখ্যাত ২৫ টি উক্তি তুলে ধরা হলো।

বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিদ্যার চাইতে অহংকারটাই বেশি শিখে।


বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কারো রচনায় আমার মন বসে না।



লোকে যাই বলুক, যাই অনুভব করুক, নিজের কাছে আমি অনন্য।


যারা মৌলবাদী তারা শতকরা একশো ভাগ মৌলবাদী।কিন্তু যারা প্রগতিশীল বলে দাবী করে থকেন তাদের কেউ কেউ দশ ভাগ প্রগতিশীল, পঞ্চাশ ভাগ সুবিধাবাদী, পনেরো ভাগ কাপুরুষ, পাঁচ ভাগ একেবারে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন।


বাংলাদেশের আসল বস্তু বলে যদি কিছু থাকে তা হলো এর আমলাতান্ত্রিক কাঠামো। স্থবির, অনড়, লোভী, রিদয়হীন এবং বিদেশী শক্তির ক্রীড়নক হওয়ার জন্যে সর্বক্ষণ প্রস্তুত।

নারীরা নারীই, সঙ্গের সাথী, দুঃখের বন্ধু এবং আদর্শের অনুসারী নয়।


লোকে যাই বলুক, যাই অনুভব করুক, নিজের কাছে আমি অনন্য।


কার্লাইল গ্যয়টেকে মহাপুরুষ মুহাম্মদের চাইতেও বড়ো মনে করেছেন। আমার ধারণা তিনি ভুল করেছেন। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) জীবনের স্বরুপ উপলব্ধি করে নিজস্ব মহিমায় স্থিত করেছেন। আর গ্যয়টে শুধু জীবনের মহিমা কীর্তন করেছেন। Prophetic genious –এর সাথে Poetic genious-এর এখানেই তফাৎ।

আগেকার নবী পয়গম্বরেরা মানবজীবনের চরম পরম লক্ষ্য বলতে বুঝতেন পরমসত্তার জ্ঞান। এই কালের মানব জীবনের পরম লক্ষ্য কী? সম্ভবত মানুষের সমস্ত সম্ভাবনা বিকশিত করে তোলাই যদি বলা হয়, আশা করি অন্যায় হবে না।


সভ্যতা কোন দেশ জাতি বা সম্প্রদায় বিশেষের সম্পত্তি নয়— অথচ প্রতিটি তথাকথিত সুসভ্য জাতির মধ্যেই এই সভ্য অভিমান প্রচন্ডভাবে লক্ষ্য করা যায়।


বস্তুত একজন বিশ্বাসী মানুষ ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে যে ধরনের নির্মল আনন্দ অনুভব করেন, একজন ধর্মবিশ্বাসহীন মানুষ উন্নত সাহিত্য পাঠেও একই আনন্দ পেয়ে থাকেন।

প্রতিটি রাষ্ট্র নিজস্ব প্রয়োজনে ইতিহাসকে বিকৃত করে।


হিন্দু বর্ণাশ্রম প্রথাই এ দেশের সাম্প্রদায়িকতার আদিমতম উৎস। কেউ কেউ অবশ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকেই সাম্প্রদায়িকতার জনয়িতা মনে করেন। তাঁরা ভারতীয় ইতিহাসের অতীতকে শুধু ব্রিটিশ শাসনের দু’শ বছরের মধ্যে সীমিত রাখেন বলেই এই ভুলটা করে থাকেন।


একটি কাক আরেকটি কাকের মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার জন্য যতরকম ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে থাকে, একজন কবি আরেকজন কবির প্রাপ্য সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার জন্য তাঁর চাইতে কিছু কম করে না।


সম্যক পরিচয়ের অভাবই হচ্ছে মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষের মূল।


মাজারে মানুষ আসবেই। মানুষ আসবে কারণ সে দুর্বল অসহায় এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী।


আমি যখন বললাম ইসলামের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এই শিরোনামে বক্তৃতা দেয়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যাচ্ছি বন্ধু-বান্ধবেরা ছিঃ ছিঃ করতে লাগলেন। ফোর্ড কিংবা রকফেলার ফাউন্ডেশনে যদি আমি যেতাম সকলে মিলে আমার নামে ধন্য ধ্বনি উচ্চারণ করত। আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এক ঘন্টা বক বক করে এলাম। সুখের কথা এই যে, আমার ঐ বক্তৃতার কারণে বাংলাদেশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়নি।


লিখিত ইতিহাসের তলায় যে অবচেতন প্রবাহ ধীরে ধীরে কাজ করে যায়, তরুর চলাও সেরকম। কোন রকমের তাড়াহুড়ো নেই। জেগে আছে অথচ চাঞ্চল্য নেই, মানুষ তরুর কাছে এই মৌন জাগরণের স্বভাব আয়ত্ত করে, তবেই তপস্যা করতে শেখে।


পুরুষ একজন নারীর সঙ্গে যেভাবে সম্পর্ক নির্মাণ করে, সেভাবে একজন মানুষ একটি বৃক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারে।


বাঁধনহীন মানুষের অনেক বাঁধন।


বোকা লোকেরা বোকামীতে ভয়ানক চালাক। তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বোকামীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।

মাথায় খুস্কি, চোখের নিচে কালো দাগ এবং দাঁতের ব্যথা এ তিনটি যেনো আমি সাহিত্য, সঙ্গীত এবং রাজনীতির কাছে থেকে পেয়েছি।


মানুষ যে সমস্ত কথা বলে, ইতিহাসের কাছে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সজ্ঞানভাবে লিখে যায়, ও সমস্ত প্রয়াসের মধ্যে একটা কপটতা রয়েছে।


ইসলামের সম্ভাবনা এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগহীন কোনো রাজনীতির ভবিষ্যত এদেশে নেই।


কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট।



স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসে নিরাশ হয়ে ফিরলেন ভারতীয় তরুণী

 ভারতীয় তরুণী রিয়া বালা (৩২) ও বাংলাদেশি তরুণ বিটু রায়ের (২৪) পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভারতে গিয়ে ওই তরুণীকে বিয়েও করেন বিটু। বেশ কিছুদিন সংসার করে স্ত্রীকে রেখে বাংলাদেশে ফিরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। উপায়ান্তর না পেয়ে স্বা



মীর খোঁজে গত বুধবার বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। তাঁর আসার খবরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিটু রায়। অবশেষে স্বামীর দেখা না পেয়ে নিরাশ হয়ে আজ শনিবার দেশে ফিরতে হয়েছে রিয়া বালাকে।

দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে শূন্যরেখায় রিয়া বালাকে তাঁর স্বজনদের হাতে তুলে দেয় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন। রিয়া বালা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা শ্যামল কান্তি বালা ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরি করেন বলে জানা গেছে। রিয়া স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। আর বিটু রায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচণ্ডী গ্রামের কৃষক অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৯ নভেম্বর বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে তেঁতুলিয়ায় বিটু রায়ের বাড়িতে আসেন রিয়া বালা। সঙ্গে বিয়ের প্রমাণ হিসেবে নিয়ে আসেন পঞ্চায়েত প্রধানের প্রত্যয়নপত্র ও কিছু ছবি। তাঁর আসার খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিটু। এর মধ্যে স্বামীর পরিবারের লোকজন রিয়া বালাকে মেনেও নিচ্ছিলেন না। গতকাল শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বিকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই তরুণী। পরে ইউএনও স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যদের সহযোগিতা তাঁকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া থানার নারী ও শিশু সেলে রাখার ব্যবস্থা করেন। এ সময় বিটু রায়ের বাবা অখিল চন্দ্রও রায়কেও ডেকে আনা হয়। তিনি ছেলে ফিরে এলে তাঁকে নিয়ে ভারতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। আজ দুপুরে ইউএনও ফজলে রাব্বি ওই তরুণীকে বাংলাবান্ধা শূন্যরেখায় নিয়ে তাঁর স্বজনদের হাতে তুলে দেন।

উপজেলা প্রশাসনকে ওই তরুণী জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার শিকারপুর এলাকায় বিটু রায়ের পিসির (ফুফু) বাড়িতে রিয়াকে বিয়ে করেন বিটু। বিয়ের পর তাঁরা সেখানে প্রায় এক মাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। দেশে ফিরে রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেন বিটু। বাধ্য হয়ে তিনি স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসেন।

বিটু রায়ের বাবা অখিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিটু ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। গত দুর্গাপূজার আগে ভারতে গিয়ে কিছুদিন ছিল। তবে বাড়িতে এসে বিয়ের ব্যাপারে কিছুই বলেনি। এমনকি আমার বোন সেখানে আছে, সে–ও এই বিয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি। যে মেয়ে এসেছে, সে অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের। আমাদের বাড়িঘরের যে অবস্থা, সে এখানে থাকতে পারবে না। এ ছাড়া আমার ছেলেও বাড়িতে নেই।’

তেঁতুলিয়ার ইউএনও ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নিরাপত্তা চেয়ে একটি তরুণী গতকাল শুক্রবার আমাকে ফোন করেন। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করে জানতে পারি, তিনি ভারত থেকে এসেছেন। এমনকি তিনি বিয়ের কাগজপত্রও সঙ্গে এনেছিলেন। তবে ছেলেটিকে পাওয়া না যাওয়ায় মেয়েটির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাঁকে পুলিশের নারী ও শিশু সেলে রাখা হয়। পরে


আমরা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হলে মেয়েটির ইচ্ছায় তাঁকে আজ তাঁর স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।’

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

  শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে ...