ll

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

 




শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা পাওয়ার কথা ছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)। এ জন্য একটি আইন পাসের কাজও চলমান ছিল। তবে সংসদ না থাকায় আইন পাস সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় আগের নিয়মেই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।

সূত্র মতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সরকার পতনের পর সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় আইন পাসের বিষয়টি স্থগিত হয়ে গেছে। নতুন সরকার কবে গঠন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকায় শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে আগের নিয়মেই অর্থাৎ ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষক সঙ্কট দূর করা হতে পারে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, আইন পাস কিংবা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষাসংক্রান্ত কোনো কিছুই এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আইন পাস করতে সংসদে তুলতে হয়। যেহেতু সংসদ নেই, কাজেই এটি কবে পাস হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তীব্র শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব তারা নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চান। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাসহ একাধিক মাধ্যমকে অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু আইন পাসের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন, সেহেতু ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১৮টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়েছে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে এক লাখের বেশি নিবন্ধন সনদধারীকে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে সনদ অর্জনের প্রথা বিলুপ্ত করতে চেয়েছিলাম। তবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করায় আইন পাস হতে সময় লাগবে। এ জন্য ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে আরও পড়ুন

ভিডিও

দেখুন

ফারাক্কা খোলায় বন্যাঝুঁকিতে দেশের যেসব জেলা

ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার এ গেট গুলো খুলে দেওয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। এই গেট খুলে দেওয়ায় দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ  আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার খবরটি আমাদের জন্য বিপদজনক। এর ফলে দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ  আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। 

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় এলার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাত ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিল ব্যারাজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

আরও বিস্তারিত

জাতীয় শিক্ষাক্রম বিষয়ে জরুরি কথা

 

স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রমের চারটি আবর্তন শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে শুরু হয়েছে পঞ্চম আবর্তনের কাজ। কোনো দেশের প্রথম আবর্তনের শিক্ষাক্রমকে ‘তৈরি করা’ বলা যেতে পারে। পরেরগুলো ‘পরিমার্জন’ হিসেবে পরিচিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছরে ঢিমেতালে চলা পরিমার্জন প্রক্রিয়াধীন শিক্ষাক্রমকে অনেকেই ‘নতুন’ নামের তকমা পরিয়েছেন। দেশের সব আবর্তনের শিক্ষাক্রমেই শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলি বিস্তৃতভাবে লিপিবদ্ধ আছে।

অথচ এবারের শিক্ষাক্রমে কিছু উদ্দেশ্যকে নতুনভাবে সংযোজনের দাবি করে অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং টিভি আলোচনায় ও বক্তৃতা-বিবৃতিতে অবিরাম ঢোলক বাজানো হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে এ অনুপযোগী শিক্ষাক্রমের আংশিক বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। একজন শিক্ষাগবেষক হিসেবে আমি শুরু  হয়েছে। একজন শিক্ষাগবেষক হিসেবে আমি শুরু থেকেই এ শিক্ষাক্রমের অসারতা সম্পর্কে লিখে আসছি। কিন্তু কেউই কর্ণপাত করেননি। শেষ পর্যন্ত গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগের (জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২) শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা বলছে। 

আশু কর্তব্য হচ্ছে আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি পরিমার্জনাধীন ও আংশিক বাস্তবায়নাধীন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে শিক্ষক-অভিভাবক এবং কিছু শিক্ষার্থীর আন্দোলন দেখেই হয়তো আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা বলছেন। এই মুহূর্তে অবশ্য এটাই করণীয়। কিন্তু ১২-১৩ বছর আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। কেন হতে পারে না? এর কারণ ত্রিবিধ।

১.জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সামাজিক পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে ১০-১২ বছরের মধ্যে/ব্যবধানে শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন করা হয়। বাংলাদেশ কোনোভাবেই শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে বিচ্যুত হতে পারে না।

২. ২০১১-১২ সালে যখন শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়, তখনো ২০৩০ সালকে লক্ষ্য করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়নি। ২০১৫ সালে গৃহীত এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ বাস্তবায়নের প্রধান কৌশল অন্তর্ভুক্তি। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ অর্জনের উদ্দেশ্যে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন জরুরি হয়ে আছে সেই ২০১৬ সালেই।

. একসময় শিক্ষাক্রম ছিল শিক্ষার বিষয়বস্তুভিত্তিক। এরপর ব্লুমের শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলির শ্রেণিবিন্যাস প্রকাশিত হলে ১৯৬০–এর দশক থেকে শিক্ষাক্রম হয় উদ্দেশ্যভিত্তিক। ১৯৮০-৯০–এর দশকে, বিশেষত কোবের ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন’ এবং জে ডেলরের ‘লার্নিং দ্য ট্রেজার উইদিন’ শীর্ষক প্রতিবেদন (১৯৯৬) প্রকাশের পর থেকে ব্লুমের শিক্ষার উদ্দেশ্যের তিন প্রধান ক্ষেত্রকে একত্রে একটি ককটেলের মতো বানিয়ে শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলোর নাম দেওয়া হলো যোগ্যতা। এই শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকেই সারা বিশ্বে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। এখন সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাক্রমকে অবশ্যই যোগ্যতাভিত্তিক করতে হবে।

উপর্যুক্ত উদ্দেশ্যাবলি অর্জনের জন্য বাংলাদেশ শিক্ষাক্রমের যথোপযুক্ত পরিমার্জন আবশ্যিক। তেমন পরিমার্জনের ভিত্তিতে ভালো মানের পাঠ্যপুস্তক রচনা করে আগামী দুই বছরের মধ্যে সেসব পাঠ্যপুস্তক প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে ওপরের শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর পরিকল্পনায় শিক্ষাক্রমের যথাযথ পরিমার্জন প্রক্রিয়া যেভাবে হওয়া উচিত 

শেষ কথা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২তে ফিরে গিয়ে এবার সে অনুসারে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের টেন্ডার করার ফাঁকে ফাঁকে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন কমিটি গঠন করা হোক। ব্যক্তির নাম বলা হয়তো ঠিক হবে না। তবু বলি, বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে জ্ঞানী, পারদর্শী ও অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. মনজুর আহমেদের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

কমিটির অন্যতম সদস্য হতে পারেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২–এর পরামর্শক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক সালেহ মতিন। দেখে-শুনে কিছু মধ্যবয়সী ও তরুণ শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ রাখা যায় কোর কমিটিতে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা হতে পারেন বিভিন্ন বিষয় কমিটির সদস্য...আরও

ভিডিও

দেখুন

যেসব পণ্যের দাম কমবে প্রথম ধাপে, জানালেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পরই পণ্যের দাম কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন ফরিদা আখতার। তবে একবারেই সব পণ্যের দাম কমানো সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে শুরুতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের দাম কমানোর। এ জন্য উৎপাদন খরচ কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদা আখতার।

আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব পণ্যের দাম কীভাবে কমানো যায়, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে বাণিজ্যসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, উৎপাদকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া উৎপাদন খরচ কমানোর দিকেও কাজ করা যেতে পারে।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বাজার সিন্ডিকেট, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য উৎপাদন নিরাপদ রাখা, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং তাদের ১০ দিনের মধ্যে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয় নিয়েও কথা  বলেছেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। 

ফরিদা আখতার বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তাবনায় আমরা খুশি। কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের দাবির বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলব।

উপদেষ্টা পরিষদে সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই করা হবে  আরও পড়ুন

ভিডিও দেখুন

ভিডিও

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-প্রধানদের পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

 বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাপ্রধানদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাগেরহাট, সিলেটের গোয়াইনঘাট, বগুড়ার শাজাহানপুর ও পটুয়াখালীতে এ বিক্ষোভ হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রভাব বিস্তার এবং অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে এসব শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবি ওঠে।

সরকার পতনের পর থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের অপসারণসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘এত দিন আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। তাঁর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক শ শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা  ঝুলিয়ে দেন।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন উপজেলার মাদলা চাচাইতারা যুক্ত সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী ঘোষ। গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মোতাহার আলী মুকুল এবং গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলী ইমাম ইনোকীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের পুকুর লিজ দেওয়া টাকার অনিয়ম, সরকারি বরাদ্দে মাঠ সংস্কারে অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গেছে, উপজেলার ডেমাজানী সরকারি কমর উদ্দিন কলেজ, নিশ্চিন্তপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে।



পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মালেকের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের প্রভাষক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একাদশ শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ক্লাসে ছাত্রীদের মানবিক বিকাশ ও জড়তা দূর করার জন্য ওদের দিয়ে গানের আয়োজন করি। এমন সময় উপাধ্যক্ষ স্যার ক্লাসে ঢুকে ছাত্রীদের গানে বাধা দেন এবং বলেন আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। তাই এই দিনে গান গাওয়া যাবে না। এ কোনো রাজনৈতিক গান নয় উল্লেখ করে আমি প্রতিবাদ করায় আমার সঙ্গেও অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে ক্লাসরুমে ঢুকে একজন শিক্ষকের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না তিনি। পরে উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে অর্ধশতাধিক ছাত্রী স্বাক্ষরিত অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দেয় আরও পড়ুন

ভিডিও তে আরও বিস্তারিত

ক্লিক করুন

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে দেওয়া হলো শিক্ষা মন্ত্রনালয়

 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন চার উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।এই চার জনকে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ২১ জনের। এদিকে এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টনও করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে বঙ্গভবনে নতুন চার উপদেষ্টার শপথ নেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে। 

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।


সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টাদের দপ্তর পূণর্বন্টন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য উপদেষ্টাদের দায়িত্ব অপরিবর্তিত আছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ‌পাঁচ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন জন উপদেষ্টা ওইদিন শপনিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন.......আরও পড়ুন

ভিডিও

ক্লিক


ইএফটিতে এমপিও শিক্ষকদের বেতন অক্টোবরে

অবশেষে অক্টোবর থেকেই এমপিও শিক্ষকেরাও সরকারি শিক্ষকদের মতো বেতন পাবেন আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে নয় অঞ্চলের নয়টি উপজেলা ও থানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই কার্যক্রম চলবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, শুধু বেতন-ভাতা নয়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকাও ইএফটিতে দেয়া হবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত সিদ্ধান্তে আরো বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও সিস্টেমে সংরক্ষিত সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্যের সঙ্গে এনআইডির তথ্য সংযুক্ত করে ডাটাবেস তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের (আইবাস ডাবল প্লাস) সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) স্থাপন করতে হবে।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য নয় অঞ্চলের নির্ধারিত ৯টি উপজেলা বা থানা পাইলটিং করতে হবে। এসব উপজেলার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটিতে দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রথমেই ইএফটিতে বেতন পাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে যেসব উপজেলা: ঢাকা অঞ্চলের রমনা থানা, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা, রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলা, খুলনার কোতোয়ালি থানা, কুমিল্লার আদর্শ সদর কুমিল্লা, সিলেটের সদর উপজেলা, ময়মনসিংহের সদর উপজেলা, রংপুরের সদর উপজেলা, বরিশালের সদর উপজেলা।

বর্তমানে ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত সাধারণ হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা হাতে পেতে চার দশকের পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তিনটি অধিদপ্তর থেকে এমপিওর খবর জানতে শিক্ষকদের নির্ভর করতে হয় শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সরকারি ওয়েবসাইটের ওপর।........আরও

ভিডিও

দেখুন



এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রকাশ


 বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের (সরকার থেকে বেতনের মূল অংশ পাওয়া শিক্ষক) বদলি নীতিমালা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি)। ১ আগস্ট এ নীতিমালায় চূড়ান্ত হয়। আজ রোববার মাউশির বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা-১ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পারস্পারিক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এ জন্য কিছু শর্ত আছে।

বদলির সাধারণ শর্ত—

* শুধু সম পদে কর্মরত দুজন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পারিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে;
* চাকরির আবেদনে উল্লিখিত নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন;
* নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে;
* অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না
* চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে।

বদলির আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

* বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে;
* মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে;
* প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে অনলাইনে পারস্পারিক বদলির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে;
* অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই–বাছাইপূর্বক নিষ্পত্তি করতে হবে;
* বদলিকৃত শিক্ষকদের ইনডেক্স পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হবে;
* বদলিকৃত শিক্ষকদের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জেষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।

এ ছাড়া অন্য শর্তের মধ্যে রয়েছে বদলির আবেদন অধিকার হিসাবে দাবি করা যাবে না। বদলিকৃত শিক্ষকেরা কোনো ধরনের টিএ/ডিএ ভাতা পাবেন না। আদেশ জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন।

অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান যোগদানের বিষয়টি মাউশি মহাপরিচালককে অবগত করতে হবে।

* এমপিও শিক্ষকদের বদলির সাধারণ শর্ত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ভিডিও

ক্লিক


পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপনে ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ

 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি বিজ্ঞাপন বা প্রচারে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে বিজ্ঞাপনে ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহারে নিষিদ্ধ করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরদিনই কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার করে সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে আজ শুক্রবার


সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এ ধরনের বিজ্ঞাপন বা প্রচারে প্রধান উপদেষ্টার ছবি ব্যবহার করা যাবে না।......

আরও

ভিডিও

দেখুন

শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ৯ প্রস্তাব

 

প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করাসহ শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে নয় দফা প্রস্তাব জানিয়েছে শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য রচিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির (কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতি) উপযোগী পাঠ্যপুস্তক দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা; সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করে এডহক কমিটি গঠন করা; পূর্ববর্তী সরকারের আমলে দলীয়ভাবে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সকল পর্যায়ের কর্মচারীর এমপিওর জন্য আবেদনপত্র ও তাদের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান দলীয় শপথ বাতিল করে পূর্বের শপথ চালু করা; অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষকের বর্তমান নিয়োগ বিধি বাতিল করে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান করা।

একইসঙ্গে জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা ২০১০–এর মার্চ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নিয়োগ বিধান চালু করা; অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাস্টের ভোগান্তি বন্ধ করা; অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি পুনর্গঠন করা এবং অন্যায়ভাবে বরখাস্তকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে বকেয়াসহ বেতন-ভাতা প্রদানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং মহাসচিব মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এই চিঠির অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়.......

পড়ুন

ভিডিও

ক্লিক


ভ্যানে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ৩ হাজার কোটি টাকার চেক? যা জানা গেল

 শিক্ষার্থীদের আটক করা ভ্যানের ভেতর পাওয়া যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ছবি, অনেকগুলো ক্রেস্ট, ফাইল ও বিভিন্ন নথি।


সড়কে ট্রাফিক সামলানোর সময় একটি ওষুধের গাড়ি থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের বিভিন্ন মালামাল ও নথির সন্ধার পেয়েছে শিক্ষার্থীরা, যার মধ্যে ‘তিন হাজার কোটি টাকার’ একটি ব্যাংক চেক পাওয়ার খবরে তোলপাড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায়।

তবে খোঁজ নিয়ে যে তথ্যপ্রমাণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম দেখেছে, তাতে সেটি আদৌ কোনো চেক নয়, ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট। আর টাকার অংকটাও তিন হাজার কোটি নয়, সাকুল্যে তিন হাজার টাকা।

গণ আন্দোলনে সরকারপতনের পর থেকে পুলিশবিহীন সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সামলাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তেমনই একদল শিক্ষার্থী শুক্রবার সকালে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ‘জরুরি ওষুধ সরবরাহ’ লেখা একটি ভ্যান আটক করে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, চালক প্রথমে ভেতরে ওষুধ থাকার কথা বলেন। কিন্তু ভ্যান খুলে দেখাতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।

তাতে সন্দেহ তৈরি হলে নাছোড়বান্দা শিক্ষার্থীরা চালককে ভ্যান খুলে দেখাতে বাধ্য করেন। ভ্যানের পেছনের ডালা খোলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ আরো প্রবল হয়, কারণ সেখানে ওষুধ ছিল না।

ভ্যানের ভেতর পাওয়া যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ছবি,অনেকগুলো ক্রেস্ট, ফাইল ও বিভিন্ন নথি। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এখানে ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি’ রয়েছে। বাকি সবও ‘রাষ্ট্রের সম্পদ’ এবং সেগুলো ‘পাচার’ করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রয়োজনীয় মালামাল স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া যেত। কিন্তু জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়িতে করে নেওয়ার ফলে তাদের সন্দেহ আরও প্রবল হয়।

তারা দাবি করেন, ওইসব নথিপত্রের মধ্যে তারা ‘তিন হাজার কোটি টাকার’ একটি চেক পেয়েছেন। এক শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, তিন হাজার কোটি টাকা জমা দিয়ে আবার সেই টাকা তুলে নিয়েছেন চেকের মালিক।

ওই গাড়ি আটকের ভিডিও দ্রুতই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাকে চেক বলছে, তার একটি ছবি পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সেটি আসলে সিটি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট।


কার্ডের মালিকের নাম আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বরের স্টেটমেন্ট সেটি। সেখানে ‘পেমেন্ট ডিউ ডেট’ হিসেবে ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বরের কথা লেখা রয়েছে। ওই তারিখ দুটির কথাই শিক্ষার্থীরা বার বার বলছিল।

ওই কার্ডে বকেয়া ছিল তিন হাজার টাকা। ১২ নভেম্বর ৩ হাজার টাকা জমা করা হয়। স্টেটমেন্টে সেটা লেখা হয়েছে ৩,০০০.০০ সিআর। এটাকেই ৩ হাজার কোটি টাকা ধরে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

নিউ ব্যালেন্স’ শূন্য লেখা থাকায় শিক্ষার্থীরা ধরে নিয়েছেন, সেই টাকা আবার তুলে নিয়েছেন ‘চেকের’ মালিক।

সবকিছুই শিক্ষার্থীদের কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় তারা সেনাবাহিনীকে খবর দেন এবং গাড়িটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন।

সবকিছু দেখে মনে হয়, আগের দিন অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া এ এম আমিন উদ্দিনের দপ্তরের মালামাল ওই ভ্যানে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ওষুধের ভ্যান ব্যবহার করায় এবং চালক সত্যি কথা না বলায় বিপত্তি ঘটে।

সেখানে নিতান্তই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের নিজস্ব নথি ও মালামাল ছিল, নাকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিও ছিল, তা যাচাই

করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আমিন উদ্দিনের বক্তব্যও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।

শেখ হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ক্ষমতার পালাবদলের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার পদত্যাগের কথা সাংবাদিকদের জানান।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিন উদ্দিনকে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সে সময় তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

শেখ হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ক্ষমতার পালাবদলের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার পদত্যাগের কথা সাংবাদিকদের জানান।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিন উদ্দিনকে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সে সময় তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

২০২০-২১ মেয়াদে তিনি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে সমিতির সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।

ভিডিও দেখুন


ডাউনলোড


আরও খবর


অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দপ্তর পেলেন

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দপ্তর বণ্টন করেন। আজ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর হাতে ২৭টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব রেখেছেন। এগুলো হলো—

*মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

*প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

*সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ

*শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়

*খাদ্য মন্ত্রণালয়

*গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

*ভূমি মন্ত্রণালয়

*বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়

*কৃষি মন্ত্রণালয়

*বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

*রেলপথ মন্ত্রণালয়

*জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

*বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়

*নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়

*মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

*তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

*প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

*বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

*শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

*সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

*মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

*মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

উপদেষ্টাদের মধ্যে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বণ্টন করা হয়েছে—

সালেহউদ্দিন আহমেদ: অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

আসিফ নজরুল: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়

আদিলুর রহমান খান: শিল্প মন্ত্রণালয়

এ এফ হাসান আরিফ: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

তৌহিদ হোসেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

শারমিন মুরশিদ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

এম সাখাওয়াত হোসেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

শারমিন মুরশিদ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

এম সাখাওয়াত হোসেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আ ফ ম খালিদ হোসেন: ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফরিদা আখতার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

নুরজাহান বেগম: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়

নাহিদ ইসলাম: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গতকাল রাতে বঙ্গভবনে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তাঁরা গতকাল শপথ নেননি। তাঁরা হলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক-ই-আজম।


বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

  শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে ...