ll

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-প্রধানদের পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

 বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাপ্রধানদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাগেরহাট, সিলেটের গোয়াইনঘাট, বগুড়ার শাজাহানপুর ও পটুয়াখালীতে এ বিক্ষোভ হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রভাব বিস্তার এবং অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে এসব শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবি ওঠে।

সরকার পতনের পর থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের অপসারণসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘এত দিন আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। তাঁর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক শ শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা  ঝুলিয়ে দেন।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন উপজেলার মাদলা চাচাইতারা যুক্ত সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী ঘোষ। গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মোতাহার আলী মুকুল এবং গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলী ইমাম ইনোকীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের পুকুর লিজ দেওয়া টাকার অনিয়ম, সরকারি বরাদ্দে মাঠ সংস্কারে অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গেছে, উপজেলার ডেমাজানী সরকারি কমর উদ্দিন কলেজ, নিশ্চিন্তপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে।



পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মালেকের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের প্রভাষক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একাদশ শ্রেণির কৃষিশিক্ষা ক্লাসে ছাত্রীদের মানবিক বিকাশ ও জড়তা দূর করার জন্য ওদের দিয়ে গানের আয়োজন করি। এমন সময় উপাধ্যক্ষ স্যার ক্লাসে ঢুকে ছাত্রীদের গানে বাধা দেন এবং বলেন আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। তাই এই দিনে গান গাওয়া যাবে না। এ কোনো রাজনৈতিক গান নয় উল্লেখ করে আমি প্রতিবাদ করায় আমার সঙ্গেও অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে ক্লাসরুমে ঢুকে একজন শিক্ষকের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না তিনি। পরে উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে অর্ধশতাধিক ছাত্রী স্বাক্ষরিত অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দেয় আরও পড়ুন

ভিডিও তে আরও বিস্তারিত

ক্লিক করুন

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে দেওয়া হলো শিক্ষা মন্ত্রনালয়

 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন চার উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।এই চার জনকে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ২১ জনের। এদিকে এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টনও করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে বঙ্গভবনে নতুন চার উপদেষ্টার শপথ নেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে। 

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।


সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টাদের দপ্তর পূণর্বন্টন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য উপদেষ্টাদের দায়িত্ব অপরিবর্তিত আছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ‌পাঁচ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন জন উপদেষ্টা ওইদিন শপনিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন.......আরও পড়ুন

ভিডিও

ক্লিক


ইএফটিতে এমপিও শিক্ষকদের বেতন অক্টোবরে

অবশেষে অক্টোবর থেকেই এমপিও শিক্ষকেরাও সরকারি শিক্ষকদের মতো বেতন পাবেন আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে নয় অঞ্চলের নয়টি উপজেলা ও থানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই কার্যক্রম চলবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, শুধু বেতন-ভাতা নয়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকাও ইএফটিতে দেয়া হবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত সিদ্ধান্তে আরো বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও সিস্টেমে সংরক্ষিত সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্যের সঙ্গে এনআইডির তথ্য সংযুক্ত করে ডাটাবেস তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের (আইবাস ডাবল প্লাস) সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) স্থাপন করতে হবে।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য নয় অঞ্চলের নির্ধারিত ৯টি উপজেলা বা থানা পাইলটিং করতে হবে। এসব উপজেলার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটিতে দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রথমেই ইএফটিতে বেতন পাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে যেসব উপজেলা: ঢাকা অঞ্চলের রমনা থানা, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা, রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলা, খুলনার কোতোয়ালি থানা, কুমিল্লার আদর্শ সদর কুমিল্লা, সিলেটের সদর উপজেলা, ময়মনসিংহের সদর উপজেলা, রংপুরের সদর উপজেলা, বরিশালের সদর উপজেলা।

বর্তমানে ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত সাধারণ হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা হাতে পেতে চার দশকের পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তিনটি অধিদপ্তর থেকে এমপিওর খবর জানতে শিক্ষকদের নির্ভর করতে হয় শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সরকারি ওয়েবসাইটের ওপর।........আরও

ভিডিও

দেখুন



এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রকাশ


 বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের (সরকার থেকে বেতনের মূল অংশ পাওয়া শিক্ষক) বদলি নীতিমালা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি)। ১ আগস্ট এ নীতিমালায় চূড়ান্ত হয়। আজ রোববার মাউশির বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা-১ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পারস্পারিক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এ জন্য কিছু শর্ত আছে।

বদলির সাধারণ শর্ত—

* শুধু সম পদে কর্মরত দুজন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পারিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে;
* চাকরির আবেদনে উল্লিখিত নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন;
* নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে;
* অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না
* চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে।

বদলির আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

* বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে;
* মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে;
* প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে অনলাইনে পারস্পারিক বদলির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে;
* অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই–বাছাইপূর্বক নিষ্পত্তি করতে হবে;
* বদলিকৃত শিক্ষকদের ইনডেক্স পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হবে;
* বদলিকৃত শিক্ষকদের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জেষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।

এ ছাড়া অন্য শর্তের মধ্যে রয়েছে বদলির আবেদন অধিকার হিসাবে দাবি করা যাবে না। বদলিকৃত শিক্ষকেরা কোনো ধরনের টিএ/ডিএ ভাতা পাবেন না। আদেশ জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন।

অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান যোগদানের বিষয়টি মাউশি মহাপরিচালককে অবগত করতে হবে।

* এমপিও শিক্ষকদের বদলির সাধারণ শর্ত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ভিডিও

ক্লিক


পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপনে ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ

 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি বিজ্ঞাপন বা প্রচারে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে বিজ্ঞাপনে ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহারে নিষিদ্ধ করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরদিনই কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার করে সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে আজ শুক্রবার


সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এ ধরনের বিজ্ঞাপন বা প্রচারে প্রধান উপদেষ্টার ছবি ব্যবহার করা যাবে না।......

আরও

ভিডিও

দেখুন

শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ৯ প্রস্তাব

 

প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করাসহ শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে নয় দফা প্রস্তাব জানিয়েছে শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য রচিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির (কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতি) উপযোগী পাঠ্যপুস্তক দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা; সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করে এডহক কমিটি গঠন করা; পূর্ববর্তী সরকারের আমলে দলীয়ভাবে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সকল পর্যায়ের কর্মচারীর এমপিওর জন্য আবেদনপত্র ও তাদের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান দলীয় শপথ বাতিল করে পূর্বের শপথ চালু করা; অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষকের বর্তমান নিয়োগ বিধি বাতিল করে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান করা।

একইসঙ্গে জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা ২০১০–এর মার্চ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নিয়োগ বিধান চালু করা; অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাস্টের ভোগান্তি বন্ধ করা; অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি পুনর্গঠন করা এবং অন্যায়ভাবে বরখাস্তকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে বকেয়াসহ বেতন-ভাতা প্রদানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং মহাসচিব মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এই চিঠির অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়.......

পড়ুন

ভিডিও

ক্লিক


ভ্যানে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ৩ হাজার কোটি টাকার চেক? যা জানা গেল

 শিক্ষার্থীদের আটক করা ভ্যানের ভেতর পাওয়া যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ছবি, অনেকগুলো ক্রেস্ট, ফাইল ও বিভিন্ন নথি।


সড়কে ট্রাফিক সামলানোর সময় একটি ওষুধের গাড়ি থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের বিভিন্ন মালামাল ও নথির সন্ধার পেয়েছে শিক্ষার্থীরা, যার মধ্যে ‘তিন হাজার কোটি টাকার’ একটি ব্যাংক চেক পাওয়ার খবরে তোলপাড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায়।

তবে খোঁজ নিয়ে যে তথ্যপ্রমাণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম দেখেছে, তাতে সেটি আদৌ কোনো চেক নয়, ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট। আর টাকার অংকটাও তিন হাজার কোটি নয়, সাকুল্যে তিন হাজার টাকা।

গণ আন্দোলনে সরকারপতনের পর থেকে পুলিশবিহীন সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সামলাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তেমনই একদল শিক্ষার্থী শুক্রবার সকালে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ‘জরুরি ওষুধ সরবরাহ’ লেখা একটি ভ্যান আটক করে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, চালক প্রথমে ভেতরে ওষুধ থাকার কথা বলেন। কিন্তু ভ্যান খুলে দেখাতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।

তাতে সন্দেহ তৈরি হলে নাছোড়বান্দা শিক্ষার্থীরা চালককে ভ্যান খুলে দেখাতে বাধ্য করেন। ভ্যানের পেছনের ডালা খোলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ আরো প্রবল হয়, কারণ সেখানে ওষুধ ছিল না।

ভ্যানের ভেতর পাওয়া যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ছবি,অনেকগুলো ক্রেস্ট, ফাইল ও বিভিন্ন নথি। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এখানে ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি’ রয়েছে। বাকি সবও ‘রাষ্ট্রের সম্পদ’ এবং সেগুলো ‘পাচার’ করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রয়োজনীয় মালামাল স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া যেত। কিন্তু জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়িতে করে নেওয়ার ফলে তাদের সন্দেহ আরও প্রবল হয়।

তারা দাবি করেন, ওইসব নথিপত্রের মধ্যে তারা ‘তিন হাজার কোটি টাকার’ একটি চেক পেয়েছেন। এক শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, তিন হাজার কোটি টাকা জমা দিয়ে আবার সেই টাকা তুলে নিয়েছেন চেকের মালিক।

ওই গাড়ি আটকের ভিডিও দ্রুতই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাকে চেক বলছে, তার একটি ছবি পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সেটি আসলে সিটি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট।


কার্ডের মালিকের নাম আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বরের স্টেটমেন্ট সেটি। সেখানে ‘পেমেন্ট ডিউ ডেট’ হিসেবে ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বরের কথা লেখা রয়েছে। ওই তারিখ দুটির কথাই শিক্ষার্থীরা বার বার বলছিল।

ওই কার্ডে বকেয়া ছিল তিন হাজার টাকা। ১২ নভেম্বর ৩ হাজার টাকা জমা করা হয়। স্টেটমেন্টে সেটা লেখা হয়েছে ৩,০০০.০০ সিআর। এটাকেই ৩ হাজার কোটি টাকা ধরে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

নিউ ব্যালেন্স’ শূন্য লেখা থাকায় শিক্ষার্থীরা ধরে নিয়েছেন, সেই টাকা আবার তুলে নিয়েছেন ‘চেকের’ মালিক।

সবকিছুই শিক্ষার্থীদের কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় তারা সেনাবাহিনীকে খবর দেন এবং গাড়িটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন।

সবকিছু দেখে মনে হয়, আগের দিন অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া এ এম আমিন উদ্দিনের দপ্তরের মালামাল ওই ভ্যানে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ওষুধের ভ্যান ব্যবহার করায় এবং চালক সত্যি কথা না বলায় বিপত্তি ঘটে।

সেখানে নিতান্তই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের নিজস্ব নথি ও মালামাল ছিল, নাকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিও ছিল, তা যাচাই

করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আমিন উদ্দিনের বক্তব্যও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।

শেখ হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ক্ষমতার পালাবদলের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার পদত্যাগের কথা সাংবাদিকদের জানান।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিন উদ্দিনকে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সে সময় তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

শেখ হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ক্ষমতার পালাবদলের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার পদত্যাগের কথা সাংবাদিকদের জানান।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিন উদ্দিনকে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সে সময় তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

২০২০-২১ মেয়াদে তিনি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে সমিতির সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।

ভিডিও দেখুন


ডাউনলোড


আরও খবর


অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দপ্তর পেলেন

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দপ্তর বণ্টন করেন। আজ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর হাতে ২৭টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব রেখেছেন। এগুলো হলো—

*মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

*প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

*সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ

*শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়

*খাদ্য মন্ত্রণালয়

*গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

*ভূমি মন্ত্রণালয়

*বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়

*কৃষি মন্ত্রণালয়

*বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

*রেলপথ মন্ত্রণালয়

*জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

*বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়

*নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়

*মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

*তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

*প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

*বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

*শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

*সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

*মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

*মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়

*প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

উপদেষ্টাদের মধ্যে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বণ্টন করা হয়েছে—

সালেহউদ্দিন আহমেদ: অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

আসিফ নজরুল: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়

আদিলুর রহমান খান: শিল্প মন্ত্রণালয়

এ এফ হাসান আরিফ: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

তৌহিদ হোসেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

শারমিন মুরশিদ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

এম সাখাওয়াত হোসেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

শারমিন মুরশিদ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

এম সাখাওয়াত হোসেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আ ফ ম খালিদ হোসেন: ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফরিদা আখতার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

নুরজাহান বেগম: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়

নাহিদ ইসলাম: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গতকাল রাতে বঙ্গভবনে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তাঁরা গতকাল শপথ নেননি। তাঁরা হলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক-ই-আজম।


নতুন শিক্ষাক্রম: মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আসছে পরিবর্তন, থাকতে পারে ৫০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা

 

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা রাখাসহ পাঁচ দফা সুপারিশ প্রস্তুত করেছে শিক্ষা


মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে— লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখা। 

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) কমিটি মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) একটি বৈঠক করে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান। 

গত ৫ মার্চ গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও কার্যক্রম ভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি লিখিত (পরীক্ষা) মূল্যায়ন রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া মূল্যায়নে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্কুল ভিত্তিক ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক মূল্যায়ন এবং পাবলিক মূল্যায়নে একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। 

এ ছাড়া মূল্যায়ন অ্যাপ নৈপুণ্য হালনাগাদ করা, চূড়ান্ত মূল্যায়নে সনদ/ট্রান্সক্রিপ্টের ৭ পর্যায়ের স্কেলে যোগ্যতা ও পারদর্শিতার সূচক অভিভাবক ও অংশজনদের অবহিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি। 

নতুন শিক্ষাক্রমে বর্তমানে দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক্–প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে। 

নতুন শিক্ষাক্রমের এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবক–শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট দিনে কোনো লিখিত পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে না। 

নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থীর অগ্রগতি বোঝাতে নম্বর কিংবা গ্রেডের পরিবর্তে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বৃত্ত ব্যবহার করা হবে। ত্রিভুজ হচ্ছে সবচেয়ে দক্ষ বা ভালো, বৃত্ত হচ্ছে মোটামুটি ভালো এবং চতুর্ভুজ মানে উন্নতি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক বলেন, মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করা উচিত। একই সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট দিনে নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তাঁদের। যাতে পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হয়। 


শিক্ষাবিদ–অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ, অসন্তোষ এবং লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। গত ১৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা মনে হয়, তাহলে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।’ 

জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এনসিটিবি এবং শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি মূল্যায়নপদ্ধতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জন-অসন্তোষ নিরসনে তা যাচাই–বাছাইয়ের পরামর্শ দেন। এরপরই ৪ ফেব্রুয়ারি মূল্যায়নপদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠনের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন এনসিটিবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা।


জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন

 জাতীয়করণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষক মো. কাওছার আলী শেখকে চূড়ান্ত বরখাস্তের অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক। 

সম্প্রতি বোর্ড সভায় কাওছার আলী শেখের চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তটি অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ২১ এপ্রিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে পাঠানো হয়

চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যাল

                               

য়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) কাওছার আলী শেখের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক আনীত অভিযোগ- সাহিদা পারভীনকে এমপিওভুক্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে দাবিকৃত ছয় লাখ টাকার মধ্যে সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ আত্মসাৎ; ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে করোনা অতিমারীর সময় শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা নগদ আত্মসাৎ; ‘জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং’ ফার্মের অডিটে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনে ব্যর্থ; আয়ের খাতে এক কোটি ৪২ লাখ সাত হাজার ৪৮৯ টাকা নগদ অসংগতি; ব্যয়ের খাতে এক কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা অসংগতি; ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জাল সনদ ও খাতা টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে নিজ আত্মীয় হোসেন শেখকে নিয়োগ দেওয়া; নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে অসহযোগিতা; বিদ্যালয়ে সময় না দিয়ে ব্যবসায় ও শিক্ষক রাজনীতিতে সরব অংশগ্রহণ; বিধিবহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদবি ব্যবহার; রেজুলেশন বহি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজ জিম্মায় রাখা।

চিঠিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির সভায় বাদী ও বিবাদী উভয়ের উপস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণপূর্বক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি প্রমাণিত হয় বিধায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।

গত বছরের নভেম্বরে কাওছার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৩০তম বোর্ড সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) মো. কাওছার আলী শেখের চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তটি অনুমোদন দেওয়া হয়।



তাড়াশের লোকালয়ে কালোমুখো হনুমান

 সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাদার রঙের কালোমুখী হনুমান। হনুমানটি তাড়াশ পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় বাসাবাড়ি, গাছপালা, দোকানে দোকানে ঘুরছে

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত তাড়াশ পৌর বাজার ও কোহিত মহল্লায় হনুমানটির দেখা পাওয়া যায়।  

স্থানীয়রা জানান, হনুমানটির গায়ের রং সাদা হলেও মুখটি কালো। এটিকে দেখতে শিশু, কিশোর ও নারী-পুরুষরা পেছন পেছন ছুটছেন। এলাকাবাসী কলা-রুটি ছুড়ে দিলে হনুমানটি সেগুলো খাচ্ছে। মাঝে মধ্যে শিশুদের ঢিলে অতিষ্ঠ হয়ে হনুমানটি গাছের ডালে ডালে, কখনও বাড়ির চালে লাফিয়ে চলে যাচ্ছে।

উপজেলার পৌর এলাকার বাসিন্দা মৃণাল সরকার মিলু বলেন, হনুমানটি আমার বাড়ির ছাদে ছিল। কিন্তু অতি উৎসাহী লোকজন হনুমানটির দৃষ্টি আকর্ষণে অবিরত চেষ্টায় প্রাণীটি স্থির থাকতে পারছে না। আবার সেলফি তোলার হিড়িকে সারাদিন এ বাড়ি ও গাছে দৌড়ে চলার কারণে হনুমানটি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

তাড়াশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ বলেন, আমার বাড়ির ছাদে ও দোকানে ছিল কিছুক্ষণ। খাবারও খেয়েছে। কিন্তু লোকজন বিরক্ত করায় চলে গেছে।

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু হাশিম খোকন বলেন, এই প্রাণীটির রাত ছাড়া গাছে ওঠার অভ্যাস নেই। কিন্তু কেউ ঢিল ছুঁড়লে বাধ্য হয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ির চাল ও গাছের ডালে উঠে পড়ে।

তাড়াশ উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবরটি আমি পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের বনাঞ্চল থেকে খাদ্যে সন্ধানে মূলত হনুমানটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে চলাচলরত কোনো ট্রাকের ছাদে করে হনুমানটি এ এলাকায় আসতে পারে। তবে হনুমানটিকে বিরক্ত না করলে, সে চলে যাবে।

রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সাপ্তাহিক ছুটি কমতে পারে

 বিতর্ক এড়িয়ে রমজান মাসে ছুটি কার্যকর রাখতে আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি। বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

              Watch now 

             

              Watch

             Play video

টাঙ্গাইল মাতালেন পরীমনি

 বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে টাঙ্গাইল মাতালেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার বিকালে শহরের আকুর-টাকুরপাড়া এলাকায় প্রসাধনীর একটি শোরুম উদ্বোধন করেন। পরে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আলোচনা সভায় মিলিত হন এই চিত্রনায়িকা।

পরীমনি বলেন, আজকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আপনাদের ভালোবাসা সবার কাছে পৌঁছে গেছে নিশ্চয়ই। আমরাও সেই ভালোবাসার অংশীদার হতে চাই। আমাকে কী আপনারা সত্যি সত্যি ভালবাসেন? আমরা একটি অথেনটিক প্রোডাক্ট নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। এখানে শুধু একটা প্রোডাক্ট নয়, এখানে অথেনটিক হাজার হাজার প্রোডাক্ট রয়েছে। রূপচর্চার জন্য যা যা দরকার সবই নিয়ে এসেছি।
 
তিনি বলেন, পরীর মতো সুন্দর কাউকে হতে হবে না। প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা আলাদাভাবে সুন্দর, নিজস্বভাবে সুন্দর। সেই সৌন্দর্যকে আপনারা যত্ন করবেন। নিজেকে অনেক ভালোবাসতে হবে। তাহলে সুন্দর থাকা যাবে। আমরা সবাই নিজেদের মতো করে সুন্দর থাকব। আমরা মানুষ ও দেশকে ভালোবাসবো।

পরে দর্শকদের সঙ্গে সেলফি তোলেন ও স্টেটাস দেন- আমার সিঙ্গেল দেখে, প্রেমের ছড়াছড়ি। পরে হায়রে কী যে করি, হায়রে কী যে করি, আমি ডানাকাটা পরী আমি ডানাকাটা পরী গান পরিবেশন করেন।
 
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

এ সময় হারল্যানের সিইও ও এমডি এমদাদুল হক সরকার, সিইও লাইফ স্টাইল সৈয়দ জুবায়ের আব্দুল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুল আলীম শিমুল, হেড অব সেলস মাজেজুর রহমান রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

ইউরোপ রাশিয়া ‘জিরকন’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়া হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান গতকাল সোমবার এই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, গত সপ্তাহে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।

প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে যে, হামলায় হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

কিয়েভ সায়েন্টেফিক-রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ফরেনসিক এক্সামিনেশনের পরিচালক ওলেকসান্দার রুভিন তাঁর টেলিগ্রাম পোস্টে এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা চালানোর পরে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলো নিয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে ইনস্টিটিউট এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি শব্দের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি গতিতে যায়। সর্বোচ্চ এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে এটির।

এর আগে ২০২২ সালে পরীক্ষামূলকভাবে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রাশিয়া। তখন এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘অপরাজেয়’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনে জিরকনের ব্যবহার নিশ্চিত হলে, পশ্চিমা সামরিক সাহায্য নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে এই অস্ত্রটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের বিমান প্রতিরক্ষার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি না সাগর থেকে ছোড়া হয়েছে সে বিষয়ে ওলেকসান্দার রুভিনের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। তবে তিনি বলেছেন ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ থেকে যেসব চিহ্ন পাওয়া গেছে, তা দেখে মনে হয়েছে কিছু দিন আগেই এটি তৈরি করা হয়েছে।

more read


১৩ বছর আগে ডিভোর্স, তবুও কেন স্বামীর পদবি ব্যবহার করেন জয়া!

 দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। যার শোবিজ অঙ্গনে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জয়া মাসউদ নামে। মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজের নামের শেষে মাসউদের বদলে জুড়ে নেন আহসান। সেই থেকে তিনি ‘জয়া আহসান’ নামেই দুই বাংলায় সমধিক পরিচিত।

১৯৯৮ সালে ফয়সাল আহসানকে বিয়ের পর সুন্দরভাবেই কেটে যায় এই দম্পতির এক যুগ। কিন্তু বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। শোনা যায়, ২০১১ সালে ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেন জয়া। যদিও এই বিচ্ছেদের খবর নিয়ে তারা কেউই কখনো মুখ খুলেননি।

এদিকে ২০১১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে আরও ১৩ বছর। এই লম্বা সময়েও আর নতুন করে বিয়ের কথা ভাবেননি জয়া। শুধু কী তাই? নামের পাশ থেকে এখনও ‘আহসান’ পদবিটা ছেঁটে ফেলেননি জয়া। 

জানা যায়, ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ পরিবারের সন্তান ফয়সাল আহসানের পুরো নাম মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। এক যুগ ধরে ফয়সাল আহসান জয়ার স্বামী না হলেও জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখনো কেন তার নামের অংশ ধরে রেখেছেন? ভক্ত-অনুরক্তদের রয়েছে জানার কৌতূহল। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব কখনোই দেননি অভিনেত্রী।

নানা সময়ে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না’ বলে এড়িয়ে গেছেন। এছাড়া ফয়সাল আহসানের সঙ্গে কেন তার সংসার টেকেনি, তা নিয়েও কখনো মুখ খোলেননি দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী।

তবে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতাক বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়সাল আহসানরা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার পূর্বপুরুষদের হাতেই গড়ে উঠেছিল সদরঘাটে অবস্থিত দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিল। এমন একটি পরিবারের বউ হয়েছিলেন জয়া। আর তাই ডিভোর্সের পরও ‘আহসান’ পদবি নাম থেকে মুছে ফেলতে পারেননি। 

এদিকে একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল বর্তমানে রেস্টুরেন্ট, বুটিক হাউজ ও আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া সাবেক হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘ভ্যাটারান হকি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলে শোনা যায়।

চলে বর্তমানে অতীতের হাত ধরে আর ছাড়ে

চলছে ঠিকই বর্তমানে

অতীতেরই হাত ধরে

অতীত কি আর পিছু ছাড়ে!

বুলিতে  বর্তমান

তবু অতীত বহমান।

ভিশনারি গুটি কয়েক

উল্টো রথে চলছে বিবেক।

আকডুম বাকডুম

আসলে নিষিদ্ধের ডোম। 

নিষিদ্ধ যা তাই

তাতেই  আনন্দ পায়। 

যুদ্ধে খুঁজে মানবিকতা

সাধারন তাই সমাজের বিশৃঙ্খলতা।

শিক্ষাই যেন অসভ্যতার কারন

কে কাকে করবে বারন!

স্বার্থপরতা আর নিজের বুঝ

মিলেমিশে একাকার।

উদার যে

সে মন্দ

কর্তব্যের বালাই নাই

অধিকার ষোল আনা চায়

সম্ভব হলে আবেগের ব্রাকমেলে পায়।

মূর্খদের গলাবাজি

স্বার্থের জন্য অতীতে

নেই আহাজারি

বর্তমানের ফুলঝুড়ি।

যার অতীতে লস

সে ভুলতে পারে না অতীত

যার অতীতে লাভ

তার কাছে অতীত

যেন মূর্ত অজগর সাপ।

নোংরা মন বেশে পরিষ্কার

সফেদ সাদা

কেমনে করবে আবিষ্কার।

এই করে সেই করে

জায়গা থেকে না নড়ে।

বিপদে থাকে না পাশে

আকাঙ্ক্ষা সবাই তার

করবে পূজা 

পূজারিণী বেশে।

অন্যের টা ফাও

অধিকার চায়

নিজের টা!

চরম মূল্য যার।

দেয়ালের ভিতরে দেখে

ঐ পাশে কল্পনার চিন্তা না আসে

বোকা সে অতী বোকা

জানেনা

কর্মফল দ্বিগুন হয়ে ফিরে আসে।।।।









একই ভোগে সব ভগবান তুষ্ট নয়

সবার চাহিদার জিনিস এক নয়। যার যা চাহিদা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সেটাই সে অন্য সবার চাহিদা মনে করে। চাহিদা পরিপূর্ন্য হয় শুধু চাহিদার বস্তু দিয়েই অন্য কোন বস্তু দিয়ে কারো চাহিদাই পূরন করা যায় না


। কারো সম্পদের চাহিদা,কারো পেশা চাহিদা,কারো সুন্দর সমাজের চাহিদা,কারো বিবেকের চাহিদা,কারো নৈতিকতার চাহিদা, কারো ক্ষমতার চাহিদা এরকম হাজারো রকমের চাহিদা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বিরাজমান। একই ভোগে কি আর সব ভগবান তুষ্ঠ হয়


For more write in blog

See More

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

  শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে ...