ll

রুচির দূর্ভিক্ষ

 রুচির দূর্ভিক্ষ

শামীম আল মামুন


অযোগ্যরা যোগ্যতা পায়

তার বসার কথা কোথায়?

সে কোথায় জায়গা পায়!


যাকে খোজার কথা

তাকে সবাই হারিয়ে বেড়ায়।


তার যাওয়ার কথা যেথায়

সে যায় কোথায়!


সন্মান পাওয়ার কথা কার

সন্মানী হয় কে!

যে হারিয়ে যাবার কথা

সেই নাকি চোখে হারায়!


ধূতুরা যখন রজনীগন্ধা

গোলাপ তখন জাদুঘরে।


রুচিতে অরুচি

অরুচিতেই রুচি,

এ যেন রুচির দূর্ভিক্ষ

চারিদিকে বহমান।

অযোগ্যরা তাই করে

শিড় দাড়া দন্ডায়মান। 

প্রকৃতির ঋণ

 প্রকৃতির ঋণ

শামীম আল মামুন


স্বপ্নের জাল বুনতেও যেন

দিতে হয় ট্যাক্স

সকল দেশের সেরা

আমাদের এ দ্যাশ।


ইফতার সেহেরী তে কেউ খায় শুধু মুড়ি

কারও বা আবার টেবিলে খাবার সাড়ি সাড়ি।


কারও ক্ষুধা পেটে আসে না নিদ্রা

কারও বিলাসীতায় রাত হয় ভোর,

কেউ ঔষধের অভাবে ছাড়ে ইহলোক

অনেকে ঔষধকে ড্রাগস বানিয়ে

বলে নেষার জয় হোক।


কারও টাকার কমতি নাই

তার সেবা করার  মানুষ নাই

যে যা পায়

তা পেয়েও হারাবার চায়।


বৃষ্টিতে ভিজে যাদের ভাঙ্গা ছাউনি

বৃষ্টি নিয়ে বিলাসিতা তাদের ই মানায়

যাদের শরীর বৃষ্টির ছোয়া কোনদিন পায়নি।


মৃত্যুর বিলাসীতা নেই কারও

তবুও কি মৃত্যুবন্ধ!

সকল আবেগের দুয়ার বন্ধ

মৃত্যুর আগেই কেন তবে

আবেগ ছাড়ো!


মৃত্যুর আগেই হয়ে যাও প্রানহীন

প্রকৃতি শুধিয়ে নিবে

তোমার সকল ঋণ।

চেতনা ব্যবসা

 চেতনা ব্যবসার বারবারন্ত

ঐতিহ্যের গালগল্প

সত্যি আর সততা বিরাজমান অল্প

গঙ্গায় স্নানে পাপ যায়না

মরে গেলেই সব ভুল শুদ্ধতা পায় না

বর্তমানে গুনের অভাব

তাই অতীত টানার স্বভাব

প্রশাসনিক নেতা কি আর

নেতার মত নেতা হয়

নেতা তৈরি জায়গা

রাজনৈতিক কুড়ে ঘর

রাজনীতি যখন পেট নীতি

দেশপ্রেমের বুলির ছলনায় ভুলি

ভুল জায়গায় ভুল লোক

চায় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হোক

ধরে রাখে জায়গা বহুদিন

ছলনায় ভোলায় আসছে শুভ দিন।।।।।।

রাতের বৃষ্টি

  রাতের বৃষ্টি


টিনের চালে টাপুর টুপুর

অন্ধকারে ঘেরা উঠান

মাঝে সাঝে বিদ্যুতের ঝলকানি

হিম হিম আবহাওয়ায় কাব্যের মাতলামি। 


হাজারো স্মৃতির উকি ঝুঁকি

দুরন্ত কৈশরে বৃষ্টিতে খেলা

বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে সবাই মিলে

বৃষ্টিতে ভেজা

মেসের সবাই মিলে মুড়ি মাখা খাওয়া

বৃষ্টির সন্ধ্যায় ভিজে পোড়াবাড়ি বা চাড়াবাড়ি গমন

সবই আজ ধূসর স্সৃতি।


বৃষ্টি এখনও হয়

হয় না শুধু আগের মত উৎযাপন

অতীতের ভবিষ্যৎ

এখন চলমান

বর্মানের ভবিষ্যৎ

এসিড বৃষ্টির দিকে ধাবমান।


বৃষ্টিতে হয়না শোনা এখন আর

রবীন্দ্র বা নজরুল

ভাবনায় যখন

জীবনের কোথায় কোন ভূল।


বৃষ্টি ঝোড়ে যায় থেমে

সময় কে যায় কি বাধা

সময়ের কোন ফ্রেমে।


বৃষ্টি স্নাত ভেজা মাটির গন্ধ

গেরুয়া হয়ে মন

মহাকাব্যের আকর্ষন নয় মন্দ।।।।


মূর্তে আরতি

 বৈরাগ্য সাধনের উপকরণ

সংসারে নির্মোহ,

সাধু সংঙ্গ বিনা

সফেদ বসন যায় না কিনা।

অভিমান ঢের বেশী

ক্রোধ সর্বনাশী

জেদ এ যদি পরাজিত অভিমান

গৃহ তখন পৃথীবি আর আসমান।

যত স্বার্থ ক্ষুদ্র তত হিয়া

মস্তিষ্কের বোকা কৃর্তি

এতেই যেন ফূর্তি

মূর্ত তে আরতি।

লেটা প্যাটা

 শিক্ষিত লোকের অভাব নাই

সুশিক্ষিত গুটি কয়েকই পাই

ভারসাম্য নাই জ্ঞানে

তারতম্য মানে

বাহু বলের অভাব নাই

সৎ সাহস দু একজনার মধ্যে পাই

কি আর করা

বারুত থাকলে তো হয় না

শুকনা কাগজ বা কাপড় চাই

বহু কাল আগে

অনেকে রক্ত দিত অনেকের স্বার্থে

এখন ব্যক্তি ব্যাক্তির রক্ত নেয়

স্বার্থ আর অর্থে

মিথ্যার দল ভারি

সত্যের দাম কানাকড়ি

অপদার্থরা এখন পদার্থ

পদার্থ রা কৃষ্ণ গহ্বর মাকাল ফল

সভ্য নগরিতে

মানুষ হয় বেচা কেনা

কেউ বিক্রি হয় সেচ্ছায়

কেউ বা বেচে থাকার লোভে

শেষ মেষ কি কেই পার পায়

কেউ কি পেরেছে

টিকে যেতে এই ধরাধামে।।।।

রুপক বটবৃক্ষ

 রুপক বটবৃক্ষ

শামীম আল মামুন


বিরাট বড় বটবৃক্ষ

তাতে নাহি পাতা

নির্লজ্জ পরগাছা

আগে বেয়েছে মাথা,

এখন বায় গাত্র

যখন মাথায় নেই পাতা।


যদিও সে আলো বাতাস পায়

তবুও সে অন্যের গাত্র বায়,

স্বভাব ভুলে যাওয়া দায়।


পরগাছা যতই হউক সে বড়

দূর্বল মেরুদন্ড

নেই গুন ঔষধী

সবই ভীমরতি।


নানান রকম পরগাছা

জোর করেই বেয়েছে গাত্র

প্রাণ তো আছে,

ভাবে বটবৃক্ষ

না হয় হলাম

আমিই তাদের প্রাণপাত্র।


সময়ের স্রোতে বানের পানিতে

করে জায়গা বদল

তরতাজা বটবৃক্ষ দেখে

তাদের মনে খেলে যায় দোল।


করতে চায় সন্ধি

মনে যদিও ফন্দি।


স্বভাব সে তো ছোটবেলার

জীবন সায়ান্হেও দূর করা ভার।


চটাং চটাং কথার জোর

সবাইকে করতে চায় বিভোর।


মানবিকতা হীন কর্মকান্ড

কদম গাছও বুঝে

এ এক আদিম যুগীয় লঙ্কাকান্ড।।


৭ মার্চ ১৯৭১

 

৭ মার্চ ১৯৭১
শামীম আল মামুন

৭ মার্চ ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দান
লক্ষ জনতা প্রতিক্ষায়
কখন আসবেন শেখ মুজিবর রহমান।

অত:পর মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন
শুনালেন পাকিস্থানীদের শোষনের কথা
দিলেন স্বাধীনতার ডাক
বললেন পাকিস্থানী শোষন নিপাত যাক।

বললেন যার যা কিছু আছে
তাই নিয়ে প্রস্তুতির কথা
রক্ত দিয়ে গাধতে হবে বিজয়ের গাথা।

২৬ মার্চ শুনালেন
৭ মার্চের ভাষনের শেষ লাইন
রক্ত দিয়েই রচিত হবে স্বাধিন দেশের আইন।

বাঙ্গালি রক্ত দিল সম্ভ্রম দিল
ছিনিয়ে আনল স্বাধীনতা
অনন্য বিজয় গাথা।

৭ মার্চের প্রতিফলন
বাঙ্গালির আজন্ম গর্বের ধন।

পয়েট অব পলিটিক্স
শেখ মুজিবর রহমান
বেচে রবে তুমি
যত দিন রবে পদ্মা যমুনা বহমান।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

  শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে ...