ll

প্রকৃতির ঋণ

 প্রকৃতির ঋণ

শামীম আল মামুন


স্বপ্নের জাল বুনতেও যেন

দিতে হয় ট্যাক্স

সকল দেশের সেরা

আমাদের এ দ্যাশ।


ইফতার সেহেরী তে কেউ খায় শুধু মুড়ি

কারও বা আবার টেবিলে খাবার সাড়ি সাড়ি।


কারও ক্ষুধা পেটে আসে না নিদ্রা

কারও বিলাসীতায় রাত হয় ভোর,

কেউ ঔষধের অভাবে ছাড়ে ইহলোক

অনেকে ঔষধকে ড্রাগস বানিয়ে

বলে নেষার জয় হোক।


কারও টাকার কমতি নাই

তার সেবা করার  মানুষ নাই

যে যা পায়

তা পেয়েও হারাবার চায়।


বৃষ্টিতে ভিজে যাদের ভাঙ্গা ছাউনি

বৃষ্টি নিয়ে বিলাসিতা তাদের ই মানায়

যাদের শরীর বৃষ্টির ছোয়া কোনদিন পায়নি।


মৃত্যুর বিলাসীতা নেই কারও

তবুও কি মৃত্যুবন্ধ!

সকল আবেগের দুয়ার বন্ধ

মৃত্যুর আগেই কেন তবে

আবেগ ছাড়ো!


মৃত্যুর আগেই হয়ে যাও প্রানহীন

প্রকৃতি শুধিয়ে নিবে

তোমার সকল ঋণ।

চেতনা ব্যবসা

 চেতনা ব্যবসার বারবারন্ত

ঐতিহ্যের গালগল্প

সত্যি আর সততা বিরাজমান অল্প

গঙ্গায় স্নানে পাপ যায়না

মরে গেলেই সব ভুল শুদ্ধতা পায় না

বর্তমানে গুনের অভাব

তাই অতীত টানার স্বভাব

প্রশাসনিক নেতা কি আর

নেতার মত নেতা হয়

নেতা তৈরি জায়গা

রাজনৈতিক কুড়ে ঘর

রাজনীতি যখন পেট নীতি

দেশপ্রেমের বুলির ছলনায় ভুলি

ভুল জায়গায় ভুল লোক

চায় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হোক

ধরে রাখে জায়গা বহুদিন

ছলনায় ভোলায় আসছে শুভ দিন।।।।।।

রাতের বৃষ্টি

  রাতের বৃষ্টি


টিনের চালে টাপুর টুপুর

অন্ধকারে ঘেরা উঠান

মাঝে সাঝে বিদ্যুতের ঝলকানি

হিম হিম আবহাওয়ায় কাব্যের মাতলামি। 


হাজারো স্মৃতির উকি ঝুঁকি

দুরন্ত কৈশরে বৃষ্টিতে খেলা

বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে সবাই মিলে

বৃষ্টিতে ভেজা

মেসের সবাই মিলে মুড়ি মাখা খাওয়া

বৃষ্টির সন্ধ্যায় ভিজে পোড়াবাড়ি বা চাড়াবাড়ি গমন

সবই আজ ধূসর স্সৃতি।


বৃষ্টি এখনও হয়

হয় না শুধু আগের মত উৎযাপন

অতীতের ভবিষ্যৎ

এখন চলমান

বর্মানের ভবিষ্যৎ

এসিড বৃষ্টির দিকে ধাবমান।


বৃষ্টিতে হয়না শোনা এখন আর

রবীন্দ্র বা নজরুল

ভাবনায় যখন

জীবনের কোথায় কোন ভূল।


বৃষ্টি ঝোড়ে যায় থেমে

সময় কে যায় কি বাধা

সময়ের কোন ফ্রেমে।


বৃষ্টি স্নাত ভেজা মাটির গন্ধ

গেরুয়া হয়ে মন

মহাকাব্যের আকর্ষন নয় মন্দ।।।।


মূর্তে আরতি

 বৈরাগ্য সাধনের উপকরণ

সংসারে নির্মোহ,

সাধু সংঙ্গ বিনা

সফেদ বসন যায় না কিনা।

অভিমান ঢের বেশী

ক্রোধ সর্বনাশী

জেদ এ যদি পরাজিত অভিমান

গৃহ তখন পৃথীবি আর আসমান।

যত স্বার্থ ক্ষুদ্র তত হিয়া

মস্তিষ্কের বোকা কৃর্তি

এতেই যেন ফূর্তি

মূর্ত তে আরতি।

লেটা প্যাটা

 শিক্ষিত লোকের অভাব নাই

সুশিক্ষিত গুটি কয়েকই পাই

ভারসাম্য নাই জ্ঞানে

তারতম্য মানে

বাহু বলের অভাব নাই

সৎ সাহস দু একজনার মধ্যে পাই

কি আর করা

বারুত থাকলে তো হয় না

শুকনা কাগজ বা কাপড় চাই

বহু কাল আগে

অনেকে রক্ত দিত অনেকের স্বার্থে

এখন ব্যক্তি ব্যাক্তির রক্ত নেয়

স্বার্থ আর অর্থে

মিথ্যার দল ভারি

সত্যের দাম কানাকড়ি

অপদার্থরা এখন পদার্থ

পদার্থ রা কৃষ্ণ গহ্বর মাকাল ফল

সভ্য নগরিতে

মানুষ হয় বেচা কেনা

কেউ বিক্রি হয় সেচ্ছায়

কেউ বা বেচে থাকার লোভে

শেষ মেষ কি কেই পার পায়

কেউ কি পেরেছে

টিকে যেতে এই ধরাধামে।।।।

রুপক বটবৃক্ষ

 রুপক বটবৃক্ষ

শামীম আল মামুন


বিরাট বড় বটবৃক্ষ

তাতে নাহি পাতা

নির্লজ্জ পরগাছা

আগে বেয়েছে মাথা,

এখন বায় গাত্র

যখন মাথায় নেই পাতা।


যদিও সে আলো বাতাস পায়

তবুও সে অন্যের গাত্র বায়,

স্বভাব ভুলে যাওয়া দায়।


পরগাছা যতই হউক সে বড়

দূর্বল মেরুদন্ড

নেই গুন ঔষধী

সবই ভীমরতি।


নানান রকম পরগাছা

জোর করেই বেয়েছে গাত্র

প্রাণ তো আছে,

ভাবে বটবৃক্ষ

না হয় হলাম

আমিই তাদের প্রাণপাত্র।


সময়ের স্রোতে বানের পানিতে

করে জায়গা বদল

তরতাজা বটবৃক্ষ দেখে

তাদের মনে খেলে যায় দোল।


করতে চায় সন্ধি

মনে যদিও ফন্দি।


স্বভাব সে তো ছোটবেলার

জীবন সায়ান্হেও দূর করা ভার।


চটাং চটাং কথার জোর

সবাইকে করতে চায় বিভোর।


মানবিকতা হীন কর্মকান্ড

কদম গাছও বুঝে

এ এক আদিম যুগীয় লঙ্কাকান্ড।।


৭ মার্চ ১৯৭১

 

৭ মার্চ ১৯৭১
শামীম আল মামুন

৭ মার্চ ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দান
লক্ষ জনতা প্রতিক্ষায়
কখন আসবেন শেখ মুজিবর রহমান।

অত:পর মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন
শুনালেন পাকিস্থানীদের শোষনের কথা
দিলেন স্বাধীনতার ডাক
বললেন পাকিস্থানী শোষন নিপাত যাক।

বললেন যার যা কিছু আছে
তাই নিয়ে প্রস্তুতির কথা
রক্ত দিয়ে গাধতে হবে বিজয়ের গাথা।

২৬ মার্চ শুনালেন
৭ মার্চের ভাষনের শেষ লাইন
রক্ত দিয়েই রচিত হবে স্বাধিন দেশের আইন।

বাঙ্গালি রক্ত দিল সম্ভ্রম দিল
ছিনিয়ে আনল স্বাধীনতা
অনন্য বিজয় গাথা।

৭ মার্চের প্রতিফলন
বাঙ্গালির আজন্ম গর্বের ধন।

পয়েট অব পলিটিক্স
শেখ মুজিবর রহমান
বেচে রবে তুমি
যত দিন রবে পদ্মা যমুনা বহমান।

মুক্ত

 মুক্ত

তাও চিন্তার তারকাটা

নিউরনের চারপাশ

আষ্টে পিষ্টে রেখেছে

মুক্ত কিন্তু মুক্তি মেলেনি অনেক কিছুর

যার মধ্যেই সবকিছু নয় আবার অনেক কিছু


কি ভাবে নিউরনের কাটবে বন্দিদশা

নিউরন না ঘুমিয়ে ভাবছে তা

হয়তবা কেবল শুরু

নতুবা শেষ


বাতাবি লেবুর ফুলের ঘ্রান

বা রাতে বেলি ফুলের ঘ্রান

খুবই রেয়ার

মস্ত বড় বকুল ফুল গাছ

আর তার নিচে ভোরে বকুল ফুল

সেটাতো এখন কল্পনায় পাস্ট পারফেক্ট


কত কোলাহল কতই না মধুর

কত মধুর সুর কতই না তিক্ত

ভালোবাসাহীন কত সম্পর্ক

কত সম্পর্কহীন ভালোবাসা


কেউ অন্তঃজালে স্বপ্ন বুনে

আবার কেউ স্বপ্নে বুনে অন্তঃজাল

কারও শুরু কারও শেষ

কেউ শেষে মজা পায়

কেউবা আবার শুরুতে


কারও হাসির অন্তরালে এক সাগর দুঃখ

কেউ দুঃখী ভাবে নেয় সুখের মজা


কলিজার দাগ গুলো রয়ে যায়

ক্ষত সেই কবেই শুকিয়ে কাঠ


ভাবায় শুধু ভাবায়

নিউরন এত কেন ভাবায়??????


শামীম আল মামুন

একুশের প্রত্যয়

 একুশের প্রত্যয়

শামীম আল মামুন


স্বাধীনতা চাবো আমি আমার ভাষাতে

পারবেনা কেউ মোদের দমাতে

ভাষার প্রত্যয়ে দিলো রক্ত

সালাম বরকত রফিক আরো অনেকে।

ভাষার সংগ্রাম করে সফল

দেখলো বাঙ্গালি স্বাধীনতার স্বপন

আর কত কাল পরাধীনতায় যাপন!

মাঝখানে অনেক রক্ত অনেক সংগ্রাম

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্ববান।

বাঙ্গালি লড়লো প্রাণপনে

৩০ লক্ষ প্রাণের রক্ত ঝড়ে

২ লক্ষ মা বোন দিল সম্ভ্রম

এলো স্বাধীনতার অর্জন।

প্রত্যয়ে একুশ চেতনায় ৭১

বাংলাদেশ যাবে অনেক দুর

জয় বাংলা বাঙ্গালির জয়

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ হবে অমর অক্ষয়।।।

পরশ্রীকাতর

 পরশ্রীকাতর 

দূর্বল ভালোবাসা

হিয়ার ভেতর

ভালোবাসা টাকায়

শূন্য ভালোবাসায়

দাড়িয়ে রবে ফাকায়

অধৈর্য্য অস্থির

ব্যর্থতা করবেই স্থির

কলা বেচে দুধ কেনো

আবার দুধ বেচে কলা

দুধ কলাতেই জীবন যাবে

ঝালের অতৃপ্তি রবে

আমি আর আমরা

কার কাছে কি প্রিয় 

এই তর্ক অপ্রিয় বোকামিও

জিবন জেদে তাজা

অভিমানে চিনি ছাড়া চা

রাগে কাদায় পিছলে পড়া

ভালোবাসায় সিক্ত নতুবা রিক্ত


শামীম আল মামুন

দেবালয়ে শয়তানের প্রবেশ

শামীম আল মামুন


 দেবালয় চালায় শয়তান

পূর্ণ্য পাপের কাছে চায় পরিত্রান

শয়তান সেজেছে ত্রাণকর্তা

পূজারী আর পূজা বড়ই স্বস্তা। 


লোকালয়ের ভিড়ে অনেক লোকালয় থাকে

কেই ঠায় দাড়িয়ে মানবতার বাকে

অপেক্ষা ট্রাফিকের সবুজ বাতির

এ্যাম্বুলেন্স সিগনালে দাড়িয়ে

মৃতপ্রায় মনু পেলই বুঝি অক্কা


মনুকে চাইলে বাচাতে 

সিগনাল গুড়িয়ে  এ্যাম্বুলেন্স চলবে

শয়তান কাপবে

কাপড় হবে কাফন।।।।।।।।

কিশোর কিশোরী

 ওহে কিশোর কিশোরী

জীবন টা নয় শুধু অনুভূতির ফুলঝুড়ি

বয়সটা ভালো লাগার

লাগবে ভাল সবই

জীবন যেন এক রঙ্গিন ছবি

স্বপ্ন দেখা স্বপ্ন বোনা

নয় একই কথা

বেশী স্বপ্নে বোনা স্বপ্ন

দুঃস্বপ্ন  মরুময়

সব কিছুর স্বাদ নিতে নেই

কিছু স্বাদ ভবিষ্যতের

স্বাদে যদি হারাও

কালের গর্ভে হারাও

বিশ্ব শাসন করবে তুমি

এই হোক তোমাদের পন

অনুভূতিকগুলোকে পাশে নিয়ে

করো জীবন আর জীবন বোধের চাষ

তোমার শেষ নিঃশ্বাস তোমাকে

বানাবে একদিন ইতিহাস।


শামীম আল মামুন


জীবনের বিহঙ্গ

 সবাই হারিয়ে যায় সময়ের স্রোতে

কেউ চোখে হারায়

কেউ হিয়ায় হারায়

কেউ অহংকারে

কেউ নেশায়

কেউ পেশায়

কেউ স্বার্থে

কেউ ব্যর্থতায়

কেই সাফল্যে

কেই কষ্টে

কেউ ক্ষুধায়

কেউ চরিত্রে

কেউ অভিমানে

কেউ না পাওয়ায়

কেউ ক্রোধে

কেউ ভয়ে

কেউ হতাশায়

কেউ সততায়

কেই অসততায়

কেউ অতি ভালয়

কেউ ভুলে

সব সময়ে থাকে সম সঙ্গ

যখন দমে হারায়

ভাঙ্গে সকল সঙ্গ

থমকে যায় তার সময়

নশ্বর এ পৃথীবিতে

অন্য হারানো গুলো তখনও খুজে সঙ্গ

এটাই জিবনের বিহঙ্গ।।।।।।

আবেগ

 আবেগে কখনও কখনও লুন্ঠন হয় বিবেক

আবেগে প্রকৃত ভালোবাসা হয় প্রতাক্ষিত

আবেগ এক অসুখ

আবেগেই ভাবুক

আবেগে আসক্তি

আবেগেই অভিমান

আবেগে মন্দের কাছে পরাজিত

আবেগের বারাবারি

বোকা হয়ে দয়ালুর ভান ধরি

আবেগেই স্বপ্ন

আবেগেই সুখ

আবেগেই বিশ্বাস

আবেগেই ইমান

আবেগেই চোখে জল

ঠোটের কোনায় মৃদু হাসি

আবেগেই জন্ম

আবেগেই ধ্বংস

আবেগ ই পৃথীবি

আবেগ ই বেচে থাকা

মৃত্যু শেষ আবেগেরই নাম।।।।

সৃষ্টির খড়া

 

রাজনীতি যখন ব্যবসা

ব্যবসায়ী তখন রাজনৈতিক নেতা

টাকা সম্পদ তখন নষ্টের দখলে

কালো টাকার যখন কপাল খুলে

সুযোগের অভাবে সবাই ভালো

তারাই বলে যারা চিত্তে কালো

সালামের আগে নমষ্কার

আবেগ হীন পেশাহীন পেশাদার

কে যে কি হচ্ছে আর কি যে করছে

নাই তাই বিশুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা

অতিরাজনীতি মূর্খ্যরাজনীতি

আখের গোছানো ভেলকি বাজি

মালেকা হামিরা আর কেহেরমান

চেতনা আর অনূভুতি

দূর্বল রাজনীতি

তেলাতেলির সমাগম

পরিবেশ ফাপরেই গরম

সৃষ্ঠির নামে অনাসৃষ্টি

সৃষ্ঠিতে খড়া অতি খড়া

কবে হবে সৃষ্ঠির বৃষ্টি।

             শামীম আল মামুন

জীবন

 জীবন কে ভালোবাসলে উপরে উপরে

আর যাদের ভালোবাসলে

তাদের ভালোবাসা আর রিটার্ন এলো না।

দুঃখ

 দুঃখ ছড়ালে দুঃখ বারে

সুখ ছড়ালে সুখ কমে

          ইটস রিয়ালিটি।

কষ্ট

 কষ্ট

শামীম আল মামুন

কষ্টগুলো চোখ ভাষায় রাতে নির্ভিতে

বাক শূন্য করে দেয়

পোড়া কপাল মনে করিয়ে দেয়।

অমাবস্যার মত অন্ধকারের পাখি

দেখে না কেউ

যে বনে আবাস গড়ে

সে বনই জানে তার চরম অবস্থান। 

পেয়ে না পাবার কষ্ট

ভীষণ ভীষণ নষ্টের

মন জড় করে দেয়

অনুভূতি অনুভূতিহীন হয়ে যায়

হারিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর প্রবল ইচ্ছা

টেনে ধরে এ যেন আসল কষ্ট।।।।।।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

  শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে ...