ll

জাল

 জাল

শামীম আল মামুন

জাল পুরাই ভেজাল

হোক সে মধুর

থাকুক যত ঘ্রান

ভেজাল খাবারে অক্কা পায় প্রাণ

জাল সনদ

যতই উচ্চ মসনদ

থাকেনা বিবেকের মদদ

জালি নেতা

ছিড়ে খেতা

চরিত্রের যাতা

ভন্ড প্রেম

জাল প্রেমিকা

জাল সনদের সেবিকা

জাল এই যত ভেজাল

জাল এই ভালর কদরে আকাল।

সব জাল ছিড়ে যাবে

সব ভেজাল মরে যাবে

বিবেকের উদগিরনে

বিশুদ্ধ মহা প্রাণে।।।।।।।


ডিসিপ্লিন

 ডিসিপ্লিন

শামীম আল মামুন

ডিসিপ্লিন কর্মের মুল এ্যাসেসমেন্ট

দক্ষতার ও বেসমেন্ট।

ডিসিপ্লিন হচ্ছে শৃঙ্খলা

সময়ের টা সময়ে করা

বিশৃঙ্খলা অকালে মরা

সন্মান হারানো সাথে টাকা

অনিয়মানুবর্তিতায় সবই ফাকা

চলা যায় কিছু কাল

হয় একদিন সকাল

নামে জীবনের বিকাল

ধ্বংস সব উন্নয়ন

জীবন ধেকে হয় সব বিয়োজন।।।।।।।।


মৃত্যু

 মৃত্যু

মৃত্যু মানে আবেগ

মৃত্যু মানে শূন্যতা

মৃত্যু মানে কান্না

বন্ধ সকল বায়না

মৃত্যু মানে ভূলে যাওয়া

ফেলে যাওয়া সকল পাওয়া

মৃত্যু মানে একাকিত্ব

মৃত্যু সেতো জীবনের ফল

মৃত্যু মানে আত্মার বিদায়

মৃত্যু মানে এক বুক অভিমান

মৃত্যু মানে বোবা কান্না

মৃত্যু মানে শেষ থেকে শুরু

শুরুর রুপে শেষ

মাঝ খানের গল্পগুলোর

যোগফল শূন্যতেই শেষ

মৃত্যু মানে মুছে যাওয়া দেনা পাওনা

মৃত্যু মানে পচে যাওয়া শরীর

মৃত্যু মানে ভয়

মৃত্যু মানে অন্ধকার

মৃত্যু মানে শুরু কর্মফল

মৃত্যু সেতো জিবের শেষ পরিনতি

মৃত্যু মানে অব্যাক্ত অভিজ্ঞতা 

না বলা স্বাদ

মৃত্যু মানে নির্বকার

মৃত্যু মানে শেষ যাত্রা

মৃতু মানে চির বিদায়

মৃত্যু মানে পর্তাবর্তন।

মৃত্যু মানে শিহরন

মৃত্যু মানে শেষ কবিতা লিখা।।।।।

নষ্টের দাম

 নষ্টের দাম ষোলআনা

শামীম আল মামুন

বরই মানহীন ব্যবস্থা

অচলায়তন অচল অবস্থা

জুতা উঠে গেছে মাথায়

মাথা তাই নিচের দিকেই ধায়

আতালি পাতালি যত আয়োজন

নষ্ট সমাজে চোর চোট্টাই মেটায় প্রয়োজন

ভালো কাজ নাকি করতে মানা

কারন নষ্টের দাম ষোলআনা।।।।

শেখ রাসেল

 শেখ রাসেল

শামীম আল মামুন

জাতির পিতার কনিষ্ঠ সন্তান
শেখ রাসেল তার নাম।
১৫ ই আগষ্ঠ ঘাতকের বুলেটে
গিয়েছিল তার প্রাণ।
নিষ্পাপ শিশু কি ছিল তার অপরাধ
জাতির বিবেক কিভাবে দেবে তার জবাব।
১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্ম দিন
বেচে থাকলে আজ
তোমার আলোয়
বাংলাদেশ হতো রঙ্গিন।
বাঙ্গালি জাতি পারবে না কোন দিন
শোধ করতে তোমার রক্তের ঋণ!
বাংলাদেশ হারিয়েছে সম্ভাবনা
হাসিনা রেহানা হারিয়েছে আদরের ভাই
ভাষা নেই জানা কিভাবে,
বাঙ্গালি দিবে তাদের স্বান্তনা!
আর কোন প্রাণ
অকালে না যেন যায় ঝড়ে,
শেখ রাসেলের জন্মদিনে
বাঙ্গালিরা আজ এই কামনাই করছে প্রাণ ভরে।

শিক্ষক

 শিক্ষক

শামীম আল মামুন

শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগড়
নিজের ঘড় না বেধে বাধে অন্যের ঘর।

শিক্ষক শেখায় অ আ ক খ
শেখায় নীতি আদর্শ মূল্যবোধ
অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথ।

শিক্ষকের স্পর্শে মাটি হয় সোনা
কাজ তার ছাত্রের হৃদয়ে স্বপ্নের বিজ বোনা
স্বপ্ন দেখা স্বপ্ন ছোয়ার পথ
শেখায় সন্মান দেখানো সেথায় নানা মত।

ব্যক্তি জীবনে শিক্ষক একজন মানুষ
অন্যকে স্বপ্ন দেখিয়ে নিজের স্বপ্ন প্রায়ই হয় ফানুষ
সন্মানী সন্মান দুটোই আজ হয় গেছে পোর
সমাজ গঠনে তারা আজ কম জোর।

অসভ্য কে সভ্য করা শিক্ষকের কাজ
এ যেন তেন কাজ নয়
যেন পাহাড়ের মাথায় বাজ।

দুঃখ আজ শিক্ষক দিবস
সন্মান সন্মানী দুটোই চাইতে হয়
কিভাবে সভ্য সমাজে
দীনতা আর হীনতার নহর বয়।

তবুও ভালো থাকুক
পৃথীবির সকল শিক্ষাগুরু
পৃথীবিকে জানতে শেখা
যাদের মাধ্যমেই শুরু।।।।।

এ্যালামনাই ইএসআরএম

 এ্যালুমনি ও রিইউনিয়ন

হয়ে গেল ইএসআরএম রিইউনিয়ন ও এ্যালুমনি ফরমেশন

রয়েগেছে রেশ শেষ হলেও সব আয়োজন

বিশ্ববিদ্যালয় সবারই  সব্বোর্চ ইমোশান।

এ্যালামনাই আমাদের কাছে এ্যালুমনি

সিরাজ স্যার যাবলে আমরা তাই কি মানি?

সবাই সবার জীবনে সফল

কর্ম মহৎ হয়না কারও সাথে কারও তুলনা

কেউ শান্তি খোঁজে কেউ অর্থ

যার যার যুক্তিতে কেউ নয় নিরর্থ

যে থাকতে পারে মহৎ আর চরিত্রবান

সেই সবচেয়ে ভাগ্যবান।

আক্ষরিক ভাবে অনেকেই সুখি

অনেকে আবার সারা জিবন সুখকে খুঁজি

হিয়ায় তৃপ্ত কজনা

এ্যালুমনি হয় সেই মনা।।।

সন্তুষ্টি

 সন্তুষ্টি

শামীম আল মামুন


যারা অল্পতেই তুষ্ট

তারা জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। 


সুখে থাকে যারা

সাচ্ছ্যন্দে নাই তাদের তাড়া।


সাচ্ছ্যন্দ ছাড়াও হয় সুখি

বিলাসিতা তাদের কাছে মেকি।


অল্পতে তুষ্ট নয় যারা

হতাশার অসুখে ভুগে তারা।


চাই তাদের আরো চাই

চাহিদার ভারে যদিও তারা অক্কা পায়।


মেকি সুখে ফেইক কি হাসি

কৃষক হাসে রিয়েল হাসি।


হতাশার আবরনে মুড়ানো স্বাচ্ছন্দ্য

যেন চোখ থাকতেও অন্ধ।।। 


ললনা

 ললনা

শামীম আল মামুন

লাস্যময়ী রুপসী ললনা

যুবক তুমি ছলনায় ভুলোনা।

হাসিতে তোমার হৃদয় নড়ে

বেহুস হইয়োনা তুমি অদৃশ্য ঝড়ে।

স্পর্শে হও পুলকিত

সুখের অসুখে মস্তিষ্ক কম্পিত।

কবিতা লিখোনা হিয়ায়

যে কোন ললনার মায়ায়। 

যৌবনের প্রথম শিহরন

সব ললনাতে মন তোমার হবে আপন। 

পড়লে ছলনায়

বুঝবে শেষ বেলায় ।  

তোমার প্রেমের পদ্ম

দিয়োও না তেমন জনকে

যে মজা নিয়ে শেষে

ভাংবে তোমার মনকে।

হোক বেলাশেষ তবুও  অবেলায়

হাত ধর এমন মনের

আমৃত্যু তুমি ছাড়া

হবে না সে অন্য জনের। 



নৌকা

 নৌকা

শামীম আল মামুন

চেতনায় আওয়ামীলীগ

প্রানের মার্কা নৌকা

চেতনায় নেতা শেখ মুজিব

প্রানের নেত্রী শেখ হাসিনা।

গনতন্ত্রের মানস কন্যা

দেখাচ্ছে উন্নয়নের বন্যা। 

দেশ টান করে শিড় দাড়া

দেখে ক্ষমতা লোভিরা দিশেহারা।

দিয়েছে উন্নত দেশের ডেড লাইন

ইতিমধ্যেই দৃশ্যগোচর সাইন।

পদ্মা সেতু হয়ে গেছে

হিংসায় বিরোধিদের গড়গড়ি খায় মেঝে।

অনেক দেশের চেয়ে

বাংলাদেশ আছে ভালো

কাঠের চশমা পড়া যাদের

তারাই শুধু ভালোকে বলে কালো।

আমৃত্যু থাকবে ক্ষমতায় শেখ হাসিনা

ভিন্ন অন্য কাউকে  চাই না।

নেত্রী মোদের আবেগ

তিনিই দেশের বিবেক

লক্ষ্য হীন যারা

চিরকালই থাকবে তারা সাবেক।

নেত্রী তুমি এগিয়ে চল

সাথে নিয়ে বাংলাদেশ

দেশ হতে দূর হবে

অভাবের লেশ।

এক বছর পর

আবার হবে ভোট

নৌকার হবেই জয়

আসুক যত ঐক্যজোট।

জয় শেখ মুজিব জয় শেখ হাসিনা

আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য দল

আমরা আর ভজিনা।

টাকার হবে ডলারের মান

চলে যদি বর্তমান উন্নয়নের যান।।।।।।।।।।


কোরাম

 কোরাম

শামীম আল মামুন

এক্স ওয়াই জেড মিলে করছে কোরাম

ভাগবাটোয়ারা তিন জনেই কত আরাম।

নাই গনতন্ত্র নিয়ম আর বৈধতার বালাই

অন্যরা বসে দেখে আর খায় বুট কালাই।

বিবেকের মাথায় পরেছে জং

মাঝে সাঝে তারা করে সং। 

ডেভলপমেন্ট নিয়ে নেই কোন ভাবনা

ব্যস্ত নিয়ে নিজের যাতনা।

অদক্ষ বিশৃঙ্খল তাই এত গোপনীয়তা

অন্যেরা দেখায় অনেক বেশী সহনশীলতা।

কোরামেরা ভাবে তারাই বড় চালাক

যেকোন সময় হয়ে যাবে তালাক।

সময়ের অভিশাপে হবে দংশিত

সেদিন আতঙ্কিত হবে স্তম্ভিত।।।।।





সুশীল

 সুশীল

শামীম আল মামুন

সুশীল গোপনে গোপনে বরই অশ্লীল

বান্ধবীর গাড়িতে ঢালে মোবিল।

বুদ্ধি বেচে খায়

অবুদ্ধি কুবুদ্ধি যা দিয়ে পায়।

তেলবাজিতে সদা চঞ্চল

ভালোবাসা তাদের বনজঙ্গল।

কেউ দেশকে করে পুজি

নেয় বিদেশীদের কাছ থেকে রুজি।

কেউ দেশকে করে বিভক্ত

ছড়ায় অপসংস্কৃতি  প্রতি ওয়াক্ত।

কেউ কোন পন্থায় ঠায় না পেয়ে

হয়ে যায় নিজ পন্থি

হোক না দেশের অবনতি!

তাতে তাদের কি

সবই তো চড়ইভাতি।

সুশীল রা ব্যস্ত নিয়ে টকশো

মাঠে নেমে ধরে ভো

বলে আবোল তাবোল

আদতে তাদের গোড়ায়ই গন্ডোগোল।

দেশপ্রেমের কথা বলে

দেশকে করে পুঁজি

জ্ঞানও বরই অল্প

তাই অন্যের গবেষনা করে চুরি।

জ্ঞান পাপি তারা

তাদের মানে যারা

কমপ্লিটলি বোকা তারা।।।।।।


আবদুল্লাহ এবং ছাব্বির

 আব্দুল্লাহ এবং ছাব্বির

শামীম আল মামুন

আব্দুল্লাহ এবং ছাব্বির

দুজনই আমার ছাত্র,

পড়ে ক্লাস সেভেন এ

পোড়ালেখা রেখেছে তারা কফিন এ।

পড়ালেখায় নাই তাদের মন

পড়তে এসে গুনে শুধু ক্ষন।

আব্দুল্লার ইংরেজি উচ্চারনে দাত ভাঙ্গে

ছাব্বির কি থেকে কি পড়বে!

এই নিয়ে পড়ে ঘূর্নিপাকে।

যখন মনে হয় তখনই

পড়া রেখে দেয় দৌড়,

তারা আদতে পড়া চোড়।

যে পড়া পড়ে না

সেই বই আনেনা।

মাঝে মাঝে আনে

শেষ হওয়া খাতা

যুক্তি দেখায় যাতা।

পড়ালেখায় অনিয়মিত তারা

ঘুরে সাথে অছাত্র যারা।

বোঝার ক্ষমতা আছে তাদের

নিয়মিত পড়ালেখা যদি করত

ফাল রেজাল্ট করতে পারত। 


রায়হান

 রায়হান

শামীম আল মামুন


মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান রায়হান

তারা তিন ভাই এক প্রাণ।


তাদের অভিভাবক মনিরুল ভাই

ছোট দুই ভাই এর

সন্মানের কমতি নাই।


সাইফুল জব করে ইন্ড্রাস্টিতে

রায়হান প্যাকটিস করে

বসে নিজের ফার্মিসিতে।


মনির ভাই জব করে পলিটেকনিকে

সদা মান্য করে চলে

তাদের মা কে।


রায়হান সবার ছোট

তাই ভিন্য তার মটো। 

করতে চায় রাজনীতি

নয় এটা ভিমরতী

ভিতরে আছে উদ্দোম

ফার্মেসি আর প্যাকটিস চালায় প্রানপন।


তারা সবাই আমার মামাতো ভাই

সব সময় তাদের ভালই পাই।


ভাল থাকুক তারা

তিন ভাইত্রয়

তাদের ভাল চায় না যারা

হিংসায় পুড়ুক তারা।।।



মৃত্যু

 মৃত্যু

শামীম আল মামুন

চরম আবেগ

শত্রূর চোখেও জল।

সব্বোর্চ ভালোবসার প্রাপ্তি

যেখানে জিবনের সমাপ্তি।

ব্যস্ত কর্মকান্ড সব ফেলে রেখে

যেতে হয় মাটির ঘরে।

চির নিরব নেই কোলাহল

ভুলে যায় সবাই

যে ছিল তার ভালোবাসার পাগল।

কেউ হয় কেঁদে সারা

আপন অনাত্মীয় তারা। 

ব্যস্ত করতে বিদায়ের আয়োজন

সাঙ্গ হয় জীবনের সব প্রয়োজন।

কর্ম যদি থাকে

মানুষের মুখে বেচে থাকে।

হওয়া যায় স্মরণীয়

করে যাওয়া ব্যবহার অতুলনীয়।

ক্ষুদ্র জীবন ছেড়ে

অনন্ত জীবনে প্রবেশ

কর্মেই দুনিয়ায় রেখে যাওয়া আবেশ।।


নগ্ন হৃদয়

 নগ্ন হৃদয়

   শামীম আল মামুন

নগ্ন হৃদয় যার

সেথায় নেই মূল্যবোধের ধার।

স্বার্থপর বরই স্বার্থপর

কোরামের লোক ছাড়া সবাই পর।

নিকৃষ্ট চিন্তাভাবনা

অন্যায় ব্যবহার

অন্যের টা কেড়ে নেয়ার হুংকারে ধার।

অধিকারে শতআনা

দায়িত্বে দেনা তাতে নাই মানা।

নিজ লাভে অবিরত কারসাজি

ভালকে বানায় পাজি।

নির্লজ বরই বেহায়া

নেই আদর্শের ছায়া।

বর্নবাদে ভরপুর মন

যে শুধু দিবে

সেই আপন জন।

ক্ষুদ্র জিবন

হে নগ্ন হৃদয়!

ভজো আপন জন

নয় শুধু আপন মন আর ধন

অসুখ হবে দুর

সুখের সাথে যাবে অনেকদুর।।।।


 পলিটিক্স

শামীম আল মামুন


পলিটিক্স এখন পল্ট্রি ট্রিক্স

ক্ষমতা আর টাকার মমতা

জনগনের প্রেম সেখানে জড়তা।


এই করব সেই করব

আদতে আখের গোছাবে

কি ভাবছেন? কার

কার আবার! নিজের।


পলিটিক্স যেন স্বৈরতন্ত্র

ক্ষমতা যার সব জায়েজতার

যেন পতিতারও লাগে ভাতার।


নির্বিকার মিথ্যাচার অত্যাচার জুলুম

সবই যেন স্বাভাবিক চলে বেমালুম

পয়সা হয়ে যায় কোটি টাকা

আমজনতার পকেট ফাকা।


নষ্ট সিস্টেম দাড় করানো

নিয়মের মোড়ক মোড়ানো

মুখে মিঠা মিঠা কথা

বিশ্বাস করা স্বপ্ন বৃথা।


চিপ হয়ে গেছে পলিটিক্স

জীবন মৃত্যু নিয়েও করে

নষ্ট সব পলিটিশিয়ান

গলাবাজিতে কাপায় আসমান।


রাজার নীতি এখন অযোগ্যের প্রিতি

চাছা আর কাটা

দেখায় বুকের পাটা

কপালে জুটবে ঝাটা।


অলোস বাঙ্গালি যেদিন

ডাকবে হাক

গঙ্গায় স্নান সেরে এসে বলবে

অসুন্থ অযোগ্যের পলিটিক্স নিপাত যাক।


 যুতসই উন্নয়ন

শামীম আল মামুন


যে দেশে হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ

সে দেশেই হয়েছিল রদ

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর

বর্তমানে টিকে থাকাই হয়েছে ফাপর।


ব্যবহার না করাকে বলে না সাশ্রয়

অপচয় না করাটাই টেকসই এর পশ্রয়। 


ভবিষ্যতে পরবে স্যুট

এখন যখন উলঙ্গ পাছা

আধ মরাদের ঘা মেরে

আর কি বাচানো যাবে রে বাছা। 


লেজ কাটা বানরের উপদেশ যেমন

দেশের উপদেষ্টাদের উপদেশ তেমন। 


সংকট মোকাবেলাই আসল ব্যবস্থাপনা

এছাড়া সবই কানা ফকিরেরও জানা।


রিস্ক বা হ্যাজার্ড হোক যেটাই

মোরল তুমি সঠিক যেটি করবে সেটাই।


কবিরাজি আর ঝাড়া পানি

এগুলো পৌরানিক কাহিনী

হাসি পায় বড্ড হাসি পায়

উন্নয়নের সাথে জ্ঞান যদি পিছে ধায়।


টেকসই উন্নয়ন যুত সই উন্নয়ন

নড়বড় খুটি চালের বাধন ঢিলা

যতই বানাও পাকা ঘর

ঝড়ে যাবে ভেঙ্গে

তোমারই হবে না ঠাই

নাতী পুতি বাস করার চিন্তা কোথায় পাই।।

 শিক্ষক

শামীম আল মামুন 


শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগড়

নিজের ঘর না বেধে বাধে অন্যের ঘর। 


শিক্ষক শেখায় অ আ ক খ

শেখায় নীতি আদর্শ মূল্যবোধ

অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথ। 


শিক্ষকের স্পর্শে মাটি হয় সোনা

কাজ তার ছাত্রের হৃদয়ে 

স্বপ্নের বিজ বোনা।


স্বপ্ন দেখা স্বপ্ন ছোয়ার পথ

শেখায় সন্মান দেখানো যেথায় নানা মত। 


ব্যক্তি জীবনে শিক্ষক একজন মানুষ

অন্যকে স্বপ্ন দেখিয়ে নিজের স্বপ্ন প্রায়ই হয় ফানুষ।


সন্মানী সন্মান দুটোই আজ হয় গেছে পোর

সমাজ গঠনে তারা আজ কম জোর। 


অসভ্য কে সভ্য করা শিক্ষকের কাজ

এ যেন তেন কাজ নয় 

যেন পাহাড়ের মাথায় বাজ। 


দুঃখ আজ শিক্ষক দিবস

সন্মান সন্মানী দুটোই চাইতে হয়

কিভাবে সভ্য সমাজে

দীনতা আর হীনতার নহর বয়। 


তবুও ভালো থাকুক 

পৃথীবির সকল শিক্ষাগুরু

পৃথীবিকে জানতে শেখা

যাদের মাধ্যমেই শুরু।।।।।

 অযোগ্যতাই পছন্দ

শামীম আল মামুন(২৯.১০.২০২২)


অযোগ্যতাই যোগ্যতা

ভরপুর নম্রতা আর ভদ্রতা।


পছন্দ যখন তেলতেলানি

যোগ্যরা খায় শুধুই পানি।


অযোগ্যেরও অযোগ্য

সেজে থাকে বুজুর্গ।


ছ্যাপ চাটার স্বভাব যার

গিদর কুত্তা নাম তার।


হিরক রাজার সমাহার

শত চামচায় ডিঙ্গায় পাহাড়।


যোগ্য জায়গায় গেলেই হয় না যোগ্য

যাওয়ার পথ হয় অগ্রগণ্য

কেউ মাথা,কেউ মেধা কেউ বাহু

যাদের কিছুই নাই তারাই না খেয়ে কাবু।


অনিয়মের নিয়ম ভেঙ্গে যাবেই একদিন

অন্ধকার কেটে হাসবে আলো

আলোর মশাল নিয়ে অগ্রগামী আগন্তুক

অপেক্ষা শুধু সময়ের।


রোবটিক্স পৃথিবী

বাঙ্গালি  গুটিবাজি

অন্বেষণ  নাই জ্ঞানের

বড়ই মায়া প্রানের।


কলার ধরে খাবি কষা

মর্ধাকর্ষের বিপরীতে ঢুকবে মশা

আল্লাহ ভুলে ডাকবি ভগবান

আজরাইল নেকড়ে সেজে কবজ করবে জান।।।।।

 অর্ধঅঙ্গে ব্যাথা

ঔষধ দিবে কোথা

টেনে ধরে আচড়ে মারে

মাথা চাপে টনটন করে

সুখগুলো গিলবে ভুতে

অবস অঙ্গ টানতে হয় সাথে

বুকে ব্যাথা, মাথায় ব্যাথা

পোড়া ভাগ্য মারে গুতা

প্যরালাইসড হয়ে যাচ্ছে মন

করবে বুঝি আমরন অনশন

 তেনা যখন নেতা

শামীম আল মামুন


নেতা যখন তেনা

বুঝায় নেত্রীত্বে দেনা।


তেনাই যখন নেতা

জনগনের গায়ে  তখন ছিড়া খেতা। 


নেতা যখন তেলবাজ,চাপাবাজ,ফাপরবাজ

ভাত নাই জনগন,পারলে চিড়া ভাজ। 


দূর্নীতিই যার নীতি

সততায় তার ভীমরতি।


হারাম সিস্টেমে বানাতে চায় হালাল

তার আশেপাশে পা চাটা নানান দালাল। 


নেতা যখন নগদ নারায়ন

শুনে না কোন সম্পর্কের বারন।


হ্যান করে ত্যান করে

সে আসলে চুল ছিড়ে।


কেটে যাবে অমাবস্যা

অন্ধকার যত

খন্দকার মোশতাকের মত,


পাজামার এক পা দিয়ে

ঢুকে যাবে দু পা

যে টুকু আছে সময়

নেতা তুই ভাল হয়ে যা।

সোনিয়ে

 সোনিয়া

শামীম আল মামুন


সোনিয়াকে দেখে স্যামের

মাথায় লেগেছিল গন্ডোগল

মাঝে মাঝে এমন আচরন করত

যেন হয়েছে সে পাগল।


সোনিয়া দিত না কখনও পাত্তা

ব্যবহারও করতো না তেমন

যাকে বলে যাতা।


স্যাম আবেগে ছিল ভরপুর

গভীর রাত ও ছিল তার দুপুর।


হাত পুড়িয়ে লিখে সোনিয়ার নাম

ভাবেনি কখনও কি হবে এই

ভালোলাগার পরিনাম। 


সবাই জানত কিন্তু কেউ জানত না

স্যামের পাগলামিতে দিত স্বান্তনা।


লোপা এটা কিছুতেই মানত না

হাত পুড়িয়েছে দেখে করত ভৎসনা।


বলত সে কেন পুড়িয়েছ হাত?

একটা মেয়ের জন্য

বাবা মায়ের জন্য করতে যদি

তারা হতো ধন্য।


স্যাম জানত সোনিয়া করে প্রেম

এক বা একাধিক

তবুও বাসত ভালো প্রাণাধিক।


ক্লাস বা স্টাডি ট্যুর যেখানেই যেত

সোনিয়াকে মনে মনে সে আপন করে পেত।


চেয়ে থাকত সব সময়

অনেকেই তা দেখে হয়ে যেত তন্ময়।


পুরোটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন

স্যামের ছিল না সোনিয়া ময়

ফাইনাল ইয়ারে

মৃদুল মাসুম বলে জোরেশোরে

কেন বলবে না সোনিয়াকে

ভালোবাস তারে। 


স্যাম সোনিয়াকে দিল ফোন

বলল কাল একটু করতে হবে দেখা

সোনিয়া বলল ওকে কাল ক্লাস যখন ফাকা।


এসেছিল সোনিয়া করতে দেখা

স্যাম প্রস্তাব দিয়ে হয়েছিল বোকা।


বলেছিল সোনিয়া

তার বিয়ে নিয়ে হচ্ছে কথা বাসায়

এখন আর সম্বব নয়

সে আদতে অসহায়।


স্যাম বলেছিল ঠিক আছে নো প্রবলেম

তুমি যাও হলে

বিয়ের আগে আমাকে যেও বলে। 


এই কথা শোনার পর

মৃদুল বলে মিথ্যে বলছে সে

আসলে সে দামি কিছু খুজতেছে।।


সোনিয়াকে ভুলতে স্যাম

অর্জুনায় গেল

সাথে সাথে সে সামান্তাকে পেল।


সামান্তার সাথে চলল দুচার মাস

অর্জুনার সাথে দুবছর

তারপর সর্বনাশ।


স্যাম এর ভালোবাসা ছিল শুধু সোনিয়ায়

অন্য কোথাও মন তার শোভা না পায়।


তারপর সময় গড়িয়েছে বহু

সোনিয়া অন্যের বধু

হয়েছে সে মা

স্যাম করেছে বিয়ে

সবার স্মৃতি এখনও

বয়ে বেড়ায় বুকে নিয়ে।





বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ আগের নিয়মেই

  শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই চলবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে ...