সোনিয়া
শামীম আল মামুন
সোনিয়াকে দেখে স্যামের
মাথায় লেগেছিল গন্ডোগল
মাঝে মাঝে এমন আচরন করত
যেন হয়েছে সে পাগল।
সোনিয়া দিত না কখনও পাত্তা
ব্যবহারও করতো না তেমন
যাকে বলে যাতা।
স্যাম আবেগে ছিল ভরপুর
গভীর রাত ও ছিল তার দুপুর।
হাত পুড়িয়ে লিখে সোনিয়ার নাম
ভাবেনি কখনও কি হবে এই
ভালোলাগার পরিনাম।
সবাই জানত কিন্তু কেউ জানত না
স্যামের পাগলামিতে দিত স্বান্তনা।
লোপা এটা কিছুতেই মানত না
হাত পুড়িয়েছে দেখে করত ভৎসনা।
বলত সে কেন পুড়িয়েছ হাত?
একটা মেয়ের জন্য
বাবা মায়ের জন্য করতে যদি
তারা হতো ধন্য।
স্যাম জানত সোনিয়া করে প্রেম
এক বা একাধিক
তবুও বাসত ভালো প্রাণাধিক।
ক্লাস বা স্টাডি ট্যুর যেখানেই যেত
সোনিয়াকে মনে মনে সে আপন করে পেত।
চেয়ে থাকত সব সময়
অনেকেই তা দেখে হয়ে যেত তন্ময়।
পুরোটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
স্যামের ছিল না সোনিয়া ময়
ফাইনাল ইয়ারে
মৃদুল মাসুম বলে জোরেশোরে
কেন বলবে না সোনিয়াকে
ভালোবাস তারে।
স্যাম সোনিয়াকে দিল ফোন
বলল কাল একটু করতে হবে দেখা
সোনিয়া বলল ওকে কাল ক্লাস যখন ফাকা।
এসেছিল সোনিয়া করতে দেখা
স্যাম প্রস্তাব দিয়ে হয়েছিল বোকা।
বলেছিল সোনিয়া
তার বিয়ে নিয়ে হচ্ছে কথা বাসায়
এখন আর সম্বব নয়
সে আদতে অসহায়।
স্যাম বলেছিল ঠিক আছে নো প্রবলেম
তুমি যাও হলে
বিয়ের আগে আমাকে যেও বলে।
এই কথা শোনার পর
মৃদুল বলে মিথ্যে বলছে সে
আসলে সে দামি কিছু খুজতেছে।।
সোনিয়াকে ভুলতে স্যাম
অর্জুনায় গেল
সাথে সাথে সে সামান্তাকে পেল।
সামান্তার সাথে চলল দুচার মাস
অর্জুনার সাথে দুবছর
তারপর সর্বনাশ।
স্যাম এর ভালোবাসা ছিল শুধু সোনিয়ায়
অন্য কোথাও মন তার শোভা না পায়।
তারপর সময় গড়িয়েছে বহু
সোনিয়া অন্যের বধু
হয়েছে সে মা
স্যাম করেছে বিয়ে
সবার স্মৃতি এখনও
বয়ে বেড়ায় বুকে নিয়ে।